ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ফুলের রাজ্য হিসেবে খ্যাত নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুর। এখানে চাষ হওয়া গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা ও জারবেরাসহ রকমারি ফুল দেশের চাহিদা মিটিয়ে নেপালেও রপ্তানি হচ্ছে। ভালো লাভ হওয়ায় দিন দিন এই খাতের পরিধিও বাড়ছে। আর দুই জেলায় ফুলকে জীবিকা হিসেবে বেছে নেয়া মানুষের সংখ্যা দেড় লাখের উপরে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, সরস্বতী পূজা আর বিয়ের মৌসুম হওয়ায় সারা বছরের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে এখন ফুল বাণিজ্য জমে উঠেছে। এতে বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় ফুল শ্রমিকদের আয়ও বেড়েছে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একেকজনের আয় গিয়ে দাঁড়ায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার রুপিতে। আর বছরে একজন বড় ফুল ব্যবসায়ীর গড় লাভের অঙ্ক দাঁড়ায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ রুপি। আর মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কয়েক লাখ রুপি আয় হয়।
ফুল চাষিরা বলেন, ‘নদীয়ায় সব ধরনের ফুল চাষ হচ্ছে। আর এই ফুল চেন্নাই, বিহার, মুম্বাইসহ সবখানে সরবরাহ করা হয়।’
পশ্চিমবঙ্গে ফুল ব্যবসা চাঙা হলেও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় কিছু ঘাটতির কারণে অনেক সময় লোকসান গুণতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে হিমঘর না থাকাকেই বেশি দায়ী করা হচ্ছে। যে কারণে পচে নষ্ট হয় ফুল। অনেক ক্ষেত্রে টুকরো বরফের ওপর ভরসা করলেও স্থায়ী সমাধানে হিমঘর ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের দাবি জানায় সংশ্লিষ্টরা।
নদীয়ার ভার্টিকালচারের সহকারী পরিচালক সুপ্রিয়া মন্ডল বলেন, ‘আমাদের এখানে সরকারি উদ্যোগে ২০০৩ সালে একটি হিমঘর হয়েছিল। কিন্তু যেকোন কারণে এটি ১৭ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এই সমস্যায় আমাদের অনেক ফুল নষ্ট হচ্ছে।
এদিকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার ফুল চাষীদের জন্য নানা উদ্যোগ নিলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি।