তিন বছরের মাথায় মিয়ানমারের শান ও রাখাইন প্রদেশে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে জান্তা সরকার। সেখানে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত তিনটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী এ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
গ্রামাঞ্চল থেকে মিয়ানমারের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্বে শহরের দিকে সশস্ত্র গোষ্ঠী অগ্রসর হচ্ছে। তাই পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পালিয়ে বাঁচার পথ খুঁজছে সামরিক বাহিনী।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, কারেন রাজ্যে সামরিক বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। এলাকাটি হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে। চাকরি ও অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের জান্তা সরকার বিভিন্ন স্থানে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
এসব হামলা প্রতিরোধে এবার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অক্টোবর থেকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে দুটি শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীসহ মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি। থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে যারা পরিচিত।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চি সরকারের পতনের পর থেকেই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এক হওয়ার চেষ্টা করছে। বাহিনীগুলো এরমধ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে।
কোকাং মিয়ানমার ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও আরাকান আর্মির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। তারা এক সঙ্গে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে।
পহেলা ফেব্রুয়ারিতে চলতি দফায় তিন বছর সেনাশাসনের পূর্তি হচ্ছে। দীর্ঘ এ সময়ে 'সন্ত্রাসবিরোধী' অভিযানের নামে সরকার ৪ হাজার ৪৭৪ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। আর গ্রেফতার করেছে ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে। এছাড়াও এ সময়ে ৭৮ হাজারের বেশি বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে জান্তাবাহিনী।