জান্তা-সরকার

চরম খাদ্য সংকট : অনিশ্চয়তায় মিয়ানমারের দেড় কোটি মানুষ

একসময় চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ মিয়ানমার এখন ভুগছে চরম খাদ্য সংকটে। দেশটিতে খাদ্য অনিশ্চয়তায় ভুগছে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। জান্তা সরকার বেশ চালাকির সঙ্গে পুরো বিষয়টি গোপন করে যাচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী কোনো সংস্থাকেই মিয়ানমারে প্রকাশ্যে কাজ করতে দিচ্ছে না সেনাশাসিত জান্তা সরকার। দেয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকিও। সেনাবাহিনী আর বিদ্রোহীদের সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর অবস্থা সবচেয়ে করুণ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের রোমহর্ষক তথ্য জানালো জাতিসংঘ

মিয়ানমারের জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে নীরবে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ আর গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে বন্দিদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের রোমহর্ষক সব তথ্য। সামরিক সহিংসতায় দেশের অর্ধেক মানুষই দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে বলেও জানায় সংস্থাটি।

দেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৬ মাস বাড়ালো মিয়ানমার

দেশে চলমান সহিংস পরিস্থিতির জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

সংঘাতে রণক্ষেত্রে পরিণত রাখাইন রাজ্য

বিদ্রোহী আরাকান আর্মি আর সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্য। জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই সংঘাতকে গণহত্যা উল্লেখ করে দ্রুত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, রোহিঙ্গাদের জন্য রাখা সামগ্রী লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।

বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে মিয়ানমারের অর্থনীতি, বাড়ছে মূল্যস্ফীতি

জান্তা সরকার আর সেনাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের সংঘাতে বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে মিয়ানমারের অর্থনীতি। ৬ বছরের যেকোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে দেশটিতে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে দারিদ্র্য। কমছে প্রবৃদ্ধি, বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। রাখাইন রাজ্যে সংঘাত, কৃষি সরঞ্জামের অভাব আর চড়া দামে চালের উৎপাদন চলতি বছর কমে যাবে ৫০ শতাংশ। যুদ্ধের মধ্যে জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে রাখাইন রাজ্যে থাকা হাজার হাজার রোহিঙ্গা।

সংঘাতে বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে মিয়ানমারের অর্থনীতি

জান্তা সরকার আর সেনাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের সংঘাতে বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে মিয়ানমারের অর্থনীতি। ৬ বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে দেশটিতে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে দারিদ্র্য। কমছে প্রবৃদ্ধি, বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। রাখাইন রাজ্যে সংঘাত, কৃষি সরঞ্জামের অভাব আর চড়া দামে চালের উৎপাদন চলতি বছর কমে যাবে ৫০ শতাংশ। যুদ্ধের মধ্যে জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে রাখাইন রাজ্যে থাকা হাজার হাজার রোহিঙ্গা।

৬ মাসে সব সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে জান্তা

আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ডসহ প্রধান সব সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। যুদ্ধ যতো জটিল রূপ নিচ্ছে, ততোই ম্লান হয়ে আসছে মিয়ানমার জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সমঝোতার সম্ভাবনা। থাই সীমান্তবর্তী মায়াবতীসহ আগামী কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ভাগ্যের ওপরই নির্ভর করছে পরবর্তী পর্যায়ে যুদ্ধ কোন দিকে মোড় নেবে মিয়ানমারে।

গৃহযুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে জান্তা সরকার

গৃহযুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে জান্তা সরকার

গৃহযুদ্ধে জয় পেতে এবার রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। রোহিঙ্গাদের দিয়ে রাখাইন অধ্যুষিত বুথিডাং শহর পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ মিলেছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। রাখাইন ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে জাতিগত বিদ্বেষ উসকে দেয়ার মাধ্যমে যুদ্ধ জয়ের কৌশল নিয়েছে জান্তা সরকার, এমনটাই দাবি বিশ্লেষকদের।

জনবলের সঙ্গে মনোবলও হারাচ্ছে জান্তাবাহিনী

জনবলের সঙ্গে মনোবলও হারাচ্ছে জান্তাবাহিনী

অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ থাই সীমান্তবর্তী মায়াবতী শহরের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মরিয়া তারল্য সংকটে জর্জরিত মিয়ানমার জান্তা। কিন্তু অনভিজ্ঞ সেনাবহর নিয়ে জয় বহুদূরে। একদিন আগেই সেনাবাহিনীর শহর দখলের আরেকটি চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় বিদ্রোহীরা; সোমবার মায়াবতীর আকাশে ওড়ায় নিজেদের পতাকা। বিদ্রোহীদের দাবি, জনবলের সঙ্গে যুদ্ধের মনোবলও হারিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

চরম দারিদ্র্যের মুখে মিয়ানমার

জান্তা সরকার আর বিদ্রোহীদের সংঘাতের কারণে ধস নেমেছে বিশ্বের সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ মিয়ানমারে। দেশটিতে আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে মিয়ানমারে দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে অর্ধেকের বেশি মানুষ। ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে পরবর্তী প্রজন্মকে।

বিদ্রোহীদের দখলে মিয়ানমারের মায়াবতী শহর

তীব্র সংঘর্ষের পর মিয়ানমারের থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী মায়াবতী শহরের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে বাধ্য হলো হাজারো জান্তা সেনা। আরও সহিংসতার আশঙ্কায় দেশ ছাড়তে প্রতিবেশি থাইল্যান্ডের সীমান্তে ভিড় করছে মায়াবতীর বাসিন্দারাও। সীমান্ত বাণিজ্যের কারণে মায়াবতীর নিয়ন্ত্রণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এক লাখ মানুষকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাইল্যান্ড

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বলেছেন, দেশটি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এক লাখ লোককে গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহরের কাছে লড়াই শুরু হওয়ার পর তারা এমন ঘোষণা দিলো। খবর এএফপি’র।