দিন দিন অশান্ত হচ্ছে মিয়ানমানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর এবারই প্রথম এতো বড় চ্যালেঞ্জের মুখে দেশটির জান্তা সরকার।
গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে মিয়ানমারের তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, তাঙ্গ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং আরাকান আর্মি হাত মিলিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, এরইমধ্যে মিয়ানমারের অর্ধেকের বেশির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।
এ পরিস্থিতিতে মিয়ানমার ছেড়ে পালাচ্ছে সেখানকার নাগরিকরা। কয়েকশ' রোহিঙ্গা এরইমধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও ভারতে প্রবেশ করেছে। বাড়িঘর হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় পাড়ি জমিয়েছেন সেখানে।
ইউনিসেফের এক প্রতিনিধি জানায়, 'শরণার্থীরা তাদের মৌলিক চাহিদার সবটাই পাচ্ছে। যেহেতু দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ছিলো, তাই সবার আগে তাদের চিকিৎসা দরকার।'
এক ভারতীয় বলেন, 'মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের খাবার ও পানি দিয়ে যতটুকু পারি সাহায্য করবো। তবে এর মানে এই নয় আমরা চাই তারা এখানেই থাকুক।'
২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অং সান সু চির গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলে করে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাশাসিত জান্তা সরকারকে মেনে নেয়নি সাধারণ মানুষ। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে আগে থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয় ছিলো। পরে সামরিক সরকারের পতন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীরা।
এ অবস্থায় নিজেদের পতন টের পাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও। খোদ জান্তারই নিয়োগ করা প্রেসিডেন্ট মিন্ত সোয়ে'র শঙ্কা চলমান সহিংসতার জেরে ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে যেতে পারে মিয়ানমার ।




