রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে টালমাটাল বৈশ্বিক অর্থনীতি। এরমধ্যেই হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার নামে গাজায় আগ্রাসী হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ উত্তেজনাতো আছেই।
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় আধিপত্য বিস্তারে বরাবরই বিপরীতমুখী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় দুই পরাশক্তি রাষ্ট্রকে। এতে করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে প্রায়ই বিরাজ করে উত্তেজনা। এবার সম্পর্কের পালে বইতে শুরু করেছে সুদিনের হাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয় অ্যাপেক এর ৩০তম সম্মেলনের সাইডলাইনের বৈঠকে এক হয়েছেন দুই নেতা।
এসময় দু'দেশের সংঘাতে জড়ানো আর উচিত হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। ৪ ঘণ্টার রুদ্ধদার বৈঠকে তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেয়ার দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমরা সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছি। আমাদের মধ্যে অনেক ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটেছে। তাই আমরা সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে ফিরে এসেছি। শুধু চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষই নয়, বাকি বিশ্ব আমাদের কাছে এই প্রত্যাশা করে। এমনকি তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।
আগামীতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শি জিনপিং। এমনকি তাদের সম্পর্ককে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বলে অভিহিত করেন এই নেতা। দু'দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর দায়িত্বভার তাদের কাঁধে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন জিনপিং।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শি জিনপিংকে আবারও স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যা দেন বাইডেন। তবে এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
বাইডেন আরও বলেন, 'শি জিনপিং একটি কমিউনিস্ট দেশ পরিচালনা করেন। ওই দেশের সরকারের গঠন আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই অর্থে তিনি একজন স্বৈরশাসক।'
গত বছরের নভেম্বরেও দু'দেশের সম্পর্ক স্থীতিশীল রাখতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বৈঠকে বসেছিলেন বাইডেন ও জিনপিং।