প্রায় এক বছর পর আত্নগোপনে থাকার পর জনসম্মুখে আসলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) নরওয়ের অসলোতে ভক্ত-সমর্থকদের হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রপন্থী এই নেত্রী।
বুধবার অসলোতে নোবেল কমিটির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার গ্রহণের কথা ছিল মাচাদোর। কিন্তু যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারায় মাচাদোর পক্ষে পুরস্কার নেন তার মেয়ে আনা কোরিনা সোসা। এর কয়েক ঘন্টা পর জনসম্মুখে আসেন ভেনেজুয়েলার শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করে যাওয়া মাচাদো। এসময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ভক্ত-সমর্থকরা।
ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘দীর্ঘদীন পর তাকে দেখতে পেয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। তিনি খুব ভালো করেছেন। আশা করি সামনের দিনগুলোতেও তার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন:
আরেকজন বলেন, ‘এটা তার জন্য পুরস্কার নয়, বরং সমগ্র জীবনজুড়ে তিনি যে লড়াই করে গেছেন তার স্বীকৃতি এটি।’
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে সাক্ষাতকার দেন মাচাদো। জানান, আত্নগোপনে থাকাকালীন তার অভিজ্ঞতার কথা।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো বলেন, ‘তিন বছরেরও বেশি সময় আমি আমার সন্তানদের সঙ্গে দেখা করিনি। তারা যাতে আমার কারণে বিপদে না পড়ে, তাই তাদেরকে বিদেশে পাঠিয়েছি। ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানেও যায়নি।’
এসময় মাচাদো জানান, বাধা সত্ত্বেও ফের ভেনেজুয়েলায় ফিরবেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভেনেজুয়েলায় ফিরে যাবো। আমি কাউকে ভয় পাই না। আমি জানি ঝুঁকি আছে। চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমি।’
ভেনেজুয়েলার বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রচারের কারণে গেল বছরের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি মাচাদো। এরপর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করে ভেনেজুয়েলা সরকার।





