ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ, শান্তি আলোচনা, ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কির দফায় দফায় বৈঠক, কোনো কিছুই চার বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর কোনো সমাধান এনে দিতে পারছে না। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপজুড়ে শান্তির জন্য একের পর এক আলোচনা চললেও ইউক্রেন-রাশিয়ায় হামলা পাল্টা হামলা চলছেই। একের পর এত ভূখণ্ড দখলের দাবি করছে রাশিয়া।
গত বুধবার আরও একটি অঞ্চল দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে মস্কো দাবি করে, বলে পোকরোভস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। যদিও ইউক্রেনের দাবি, বেশিরভাগ জায়গায় রুশ হামলা প্রতিহত করেছে তারা।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের ১৪৬টি এলাকায় হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি রুশ বাহিনীর। হামলার লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনীয় জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো, ড্রোন উৎক্ষেপণ কেন্দ্র, সশস্ত্র বাহিনীসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের ১০২টি ড্রোন ভূপাতিত করার কথাও স্বীকার করেছে মস্কো।
অন্যদিকে, একটি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার পাশাপাশি রাশিয়ার একটি ট্যাঙ্ক, একটি সাজোয়া যান, ২৫ আর্টিলারি সিস্টেম এবং ১৭৭টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের। ফ্রন্ট লাইনে ১৭৭টি সংঘর্ষ হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটি।
এর আগে, খেরসনে রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত অংশে একটি হাসপাতালে ইউক্রেনীয় গোলাবর্ষণে তিনজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
এদিকে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনে অনেকদিন ধরে নির্বাচন হচ্ছে না। দেশটির বেশিরভাগ নাগরিক নির্বাচন চায় দাবি করে, চলমান সংঘাত সমাধান করে ইউক্রেনে দ্রুত নির্বাচন দিতে জেলেনস্কিকে চাপ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘লম্বা সময় পেরিয়ে গেলেও ইউক্রেনে কোনও নির্বাচন হয় নি। ইউক্রেনের জনগণ চলমান সংকটের সমাধান চান। আমি মনে করি, চলমান সংঘাতের সমাধান হওয়া উচিত।’
এদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার জানিয়েছেন, তিনি জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত আইনি বিষয়গুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা করেছেন। এ নিয়ে বাড়তি চাপ না দিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ আমি মেনে নেব না। যদি যুক্তরাষ্ট্রসহ আমাদের মিত্ররা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় উত্তর দিতে প্রস্তুত।’
২০১৯ সালে ইউক্রেনে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল। যেখানে ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। গেল চার বছর ধরে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ চলমান।





