চলতি বছরের নভেম্বরের শুরুতে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভেলেজুয়েলায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর উদ্দেশে এমন পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের। আর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর অভিযোগ তার সরকারকে উৎখাত করতে চান ট্রাম্প।
তবে মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলার তেলের মজুত দখলের চেষ্টার অভিযোগ মাদুরো সরকারের। বিশ্বের বৃহত্তম তেলের মজুত নিয়ন্ত্রণে নেয়ার উদ্দেশ পূরণের লক্ষ্যেই ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে দাবি দেশটির।
এ বিষয়ে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকে চিঠি পাঠিয়েছে খোদ প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপকে প্রতিহত করতে সংগঠনটির সহায়তাও চেয়েছেন মাদুরো। ওই চিঠিতে, ভেনেজুয়েলার তেলের মজুতে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার উদ্দেশে মার্কিন প্রশাসনের সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপের নিন্দা জানান প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রশাসনের আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে ওপেক এবং এর মিত্র দেশগুলো নিয়ে গঠিত এপেক প্লাসের সহায়তা প্রার্থনা করেন মাদুরো। ওপেকের ১৯২তম ভার্চুয়াল বৈঠকে চিঠিটি পড়ে শোনান ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হাইড্রোকার্বন মন্ত্রী ডেলসি রদ্রিগেজ বলেন, ‘মাননীয় মহাসচিব এবং ওপেক এবং ওপেক প্লাসের এর সদস্যরা, আমি এ আগ্রাসন বন্ধে আপনাদের সর্বোচ্চ সহায়তা প্রার্থনা করছি। মার্কিন আধিপত্য তেল উৎপাদনকারী এবং ভোক্তা উভয় দেশের জন্যই আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের ভারসাম্যকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলছে।’
যদিও হোয়াইট হাউজের দাবি, শুধুমাত্র মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা মাদকের খুব কমই ভেনেজুয়েলা থেকে আসে।
এদিকে কয়েক দশকের মধ্যে গেল নভেম্বরে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া এবং ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে তেল অনুসন্ধানের জন্য পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
পাশাপাশি ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্রগুলোকে জীবাশ্ম-জ্বালানির অন্য উৎসের সন্ধানের আহ্বানও জানায়। তবে আগামী বছরের প্রথম তিন মাস তেল উৎপাদন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ওপেক এবং ওপেক প্লাস।





