পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে অ্যাঙ্গোলা। অনন্য এ মাইলফলক উদযাপনে দেশবাসীকে বিশেষ উপহার দিতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জোয়াও লরেন্সো। আর তাই ১২ মিলিয়ন ডলার খরচ করে উড়িয়ে আনলেন লিওনেল মেসিকে, সঙ্গে পুরো আর্জেন্টিনা দল। প্রীতি ম্যাচের মোড়কে দেশবাসীকে দিলেন সর্বকালের সেরা ফুটবলারের নৈপুণ্য উপভোগের সুযোগ।
লিওনেল মেসি— নামটা কত বড় আর অ্যাঙ্গোলাবাসীর কতটা প্রিয়, সেটার প্রমাণ দেখা গেছে মাঠেই। লুয়ান্ডা স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন অর্ধ-লক্ষাধিক দর্শক। আর্জেন্টিনা স্টেডিয়ামে আসার আগে রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে আরও অগণিত ভক্ত। উদ্দেশ্য একটাই, মেসিকে একনজর দেখা। ম্যাচের আগে মেসির হাতে বিশেষ সম্মাননা তুলে দেন অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট। আর এমন উপলক্ষটা জয় দিয়েই রাঙিয়েছে আর্জেন্টিনা।
আরও পড়ুন:
মূল ম্যাচে যথারীতি দাপট ছিল আর্জেন্টিনার। ৪৩ মিনিটে মেসির অ্যাসিস্টে গোল করেন ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্টিনেজ। এর মাধ্যমে জাতীয় দলে গঞ্জালো হিগুয়েন ও সার্জিও অ্যাগুয়েরোর পর মার্টিনেজকেও নবমবারের মতো গোলে সহায়তা করেন মেসি। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৪০১তম অ্যাসিস্ট, আর্জেন্টিনার হয়ে ৬১তম। ফেরেঙ্ক পুসকাসের সর্বোচ্চ ৪০৪ অ্যাসিস্টের রেকর্ড ভাঙার আরও কাছে এখন লিও।
৮২ মিনিটে মার্টিনেজের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন মেসি। এর মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশের মাটিতে প্রথমবার গোলের দেখা পান তিনি। ছয় মহাদেশেই গোল করার অনন্য কৃতিত্ব অর্জনের দিন আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভিন্ন ৩৯ দেশের বিরুদ্ধে গোলের অবিশ্বাস্য রেকর্ডও সমৃদ্ধ করেছেন সর্বকালের সেরা এ ফুটবলার।
জাতীয় দলে ১৯৬ ম্যাচে মেসির গোলসংখ্যা এখন ১১৫। ৯০০ ক্যারিয়ার গোল থেকে পাঁচ গোল দূরে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সবমিলিয়ে এক হাজার ২৯৬টি গোল কন্ট্রিবিউশনে তার ধারে কাছে নেই কেউ। মেসির খেলায় অ্যাঙ্গোলার দর্শকরা এতটাই অভিভূত ছিলেন যে নিজ দলের বিপক্ষে তার করা গোলও আনন্দে উদযাপন করেছেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত সবাই।
মেসি-মার্টিনেজের গোলে ম্যাচটা ২-০ ব্যবধানে জিতেছে আর্জেন্টিনা। স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের ম্যাচ হারলেও মেসিকে স্বচক্ষে দেখাই বড় পূর্ণতা ছিল অ্যাঙ্গোলাবাসীর জন্য। আর গ্রেটেস্ট ফুটবলার অব অল টাইমের সার্থকতা বোধ হয় এখানেই।





