১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন অর্থবছর শুরু হলেও, এখনো সরকারি ব্যয়ের বাজেট বিল পাস হয়নি। মার্কিন সরকাররের অচলাবস্থা ৩৫ দিনে পৌঁছেছে। যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ শাটডাউন। এর আগে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে স্থায়ী ছিল রেকর্ড ৩৪ দিন।
ট্রাম্প প্রশাসনের অচলাবস্থা দিন দিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। সিনেটে রিপাবলিকানদের আধিপত্য থাকার পর অন্তত ১৪ বার বিল উত্থাপন করেও তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে ভর্তুকির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বেঁকে বসেছেন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা।
এখনো অচলাবস্থা নিরসনের সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। তহবিল সংকটে একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছেন ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান নেতারা। দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে দুর্ভোগের মুখে পড়েছে মার্কিন জনগণ।
আরও পড়ুন:
দীর্ঘ শাটডাউনে হুমকির মুখে পড়েছে সরকারি অনেক পরিষেবা। প্রথমবারের মতো বন্ধ হয়ে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা। বেতন ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সামরিক বাহিনীসহ বহু ফেডারেল কর্মীদের। শুধু তাই নয়, সরকারি তথ্য না পাওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে বিনিয়োগ ও মার্কিন অর্থনীতিতে।
গুরুতর বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিবহন ব্যবস্থা। গেলো এক মাস ধরে বেতন ছাড়া কাজ করছেন বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী ১৩ হাজার কর্মী এবং ৫০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। প্রতিদিনই বিলম্ব ও বাতিল হচ্ছে কয়েক হাজার ফ্লাইট।
ফ্লাইট অ্যাওয়ারের তথ্য মতে, গেলো তিন দিনে ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি। বাতিল হয়েছে ২ হাজার ২৮২টি ফ্লাইট। এ অবস্থার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্পের একগুয়েমির কারণে সংকট আরও প্রকট হচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
রয়টার্স/ইপসোসের সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, শাটডাউনের জন্য ৫০ শতাংশ জনগণ রিপাবলিকানদের এবং ৪৩ শতাংশ মানুষ ডেমোক্র্যাটদের দোষারোপ করছে।





