স্থানীয় সময় গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর) খুব ভোরে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যানফ্রান্সিস্কো শহরের উপকূলে হাজির হন মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকজন অফিসার।
এর আগে, স্থানীয় পত্রিকার খবরে বলা হচ্ছিলো, অপরাধ দমন ও সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত ক্যালিফোর্নিয়ায় শনিবার একশো ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। তাই ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই স্যান ফ্রান্সিস্কোর বে অঞ্চলে বর্ডার গার্ডদের দেখে সেখানেই একদফা বিক্ষোভ করেন সেনা মোতায়েন বিরোধী শত শত মার্কিনি।
যদিও গতকাল খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে জানান, আপাতত ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র স্যান ফ্রান্সিস্কোতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন তিনি।
আরও উল্লেখ করেন, ক্যালিফোর্নিয়ার মেয়রের কথায় কিছুটা আশ্বস্ত হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এই পোস্ট দিয়ে ঠেকানো যায়নি বিক্ষোভ।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। এই মুহূর্তে ক্যালিফোর্নিয়ার জনগণ যদি একতাবদ্ধ না থাকে তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে কোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলবেন।
আরও পড়ুন:
বিক্ষোভকারীরা আরও অভিযোগ করেন, অপরাধ দমন ও অবৈধ অভিবাসীদের আটকের কারণ দেখালেও বেছে বেছে ডেমোক্র্যাট ঘাঁটিগুলোতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের এক থাকতে হবে। শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেস, ডিসি, পোর্টল্যান্ড, মেম্ফিস—সবখানেই ট্রাম্প প্রশাসন শহরগুলোকে সামরিকীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
সম্প্রতি ট্রাম্প-বিরোধী নো কিংস বিক্ষোভ সাড়া ফেলেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর অন্তত ৩টি বড় ধরনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখেছেন বর্ষীয়ান এ রিপাবলিকান নেতা।
অপরাধের মাত্রা কমাতে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যে। তাই ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দমাতে শক্ত অবস্থানে ছিল পুলিশ। কয়েক দফায় পুলিশের বাধার মুখেও পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
স্যান ফ্রান্সিস্কো ছাড়াও প্রতিবাদী জনতার ঢল নামে ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ড শহরে। সেখানে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরাও আশঙ্কা করছেন, শেষ পর্যন্ত নিজের ভোল পাল্টে ফেলবেন ট্রাম্প, নামাবেন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য।





