ভয়ঙ্কর সাজ-পোশাকে মেক্সিকোতে হয়ে গেল জম্বি ওয়াক

জম্বি ওয়াক
জম্বি ওয়াক | ছবি: সংগৃহীত
0

মেক্সিকোতে হয়ে গেল জমকালো জম্বি ওয়াক। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে মাতে রাজধানী মেক্সিকো সিটির বাসিন্দারা। ভয়ঙ্কর সাজ-পোশাকের মাধ্যমে নিজেদের জম্বি হিসেবে উপস্থাপন করেন হাজারও ভক্ত।

হাইতিয়ান লোককথা থেকে উৎপত্তি জম্বি। যার মাধ্যমে বোঝানো হয় একটি মৃতদেহ যা বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করা। ১৯৩২ সালে হোয়াইট জম্বি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সবার সামনে আসে জম্বি চরিত্র। এরপর প্রায় ষাটের দশকে শুরু হওয়া জম্বি সিনেমাগুলো এখনও জনপ্রিয় ভক্তদের মাঝে। কোন সুপারন্যাচারাল পাওয়ার নয়, ভাইরাসের কারণে রক্ত-মাংসে গড়া মানুষই পরিণত নয় নরখাদকে। হলিউড থেকে কোরিয়ান নানা ছবিতে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় জম্বিদের।

শত-শত চোখে স্থির আগুনের মতন উজ্জ্বল দৃষ্টি। অস্বাভাবিক আচরণে অজানা ভাব প্রকাশে এক ভূতূড়ে রহস্য। চলছে নাচ গান। যদিও এটি কোন সিনেমা নয়। সম্প্রতি মেক্সিকো শহরে আয়োজন করা হয় এই ভূতূড়ে আয়োজন।

শহরতলিতে ভয়ঙ্কর সাজ-পোশাকের মাধ্যমে নিজেদের জম্বি হিসেবে উপস্থাপন করেন হাজারও ভক্ত। বড়দের পাশাপাশি আয়োজনে অংশ নেন শিশুরাও। নিজের পোষাপ্রাণিকেও জম্বি রূপে হাজির করেন ভক্তরা।

প্রতিবছরই মেক্সিকো শহরে আয়োজন করা হয় জম্বি ওয়াকের। পছন্দের সব ভূতূড়ে চেহারায় নিজেদের ফুটিয়ে তোলেন ভক্তরা। রক্তমাখা সাজগোজ ও অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গিতে নেচে গেয়ে শহরের অলগলি দাপিয়ে বেড়ান বাসিন্দারা।

একজন বাসিন্দা বলেন, আমি ২২ বছর যাবত মাইকেল জ্যাকসনের ছদ্মবেশ ধারণ করে আসছি, এটি সেরা ছিল, আমি এভাবেই জম্বির দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি। মেক্সিকো শহরে এটি বড় আয়োজন। আমরা দল নিয়ে জম্বি সেজেছি, আমরা জম্বি। আমরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি। দূষিত সবকিছু পরিহার করে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থার বার্তা দিতে চাই।

ইএ