হোয়াইট হাউসে গাজা শান্তিচুক্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সম্মতির পর ট্রাম্পকে বাহবা দেন অনেক বিশ্বনেতা। তবে সময়ের সঙ্গেই ফিকে হচ্ছে আশার আলো।
ট্রাম্প যেসব প্রস্তাব দিয়েছেন তা মূলত গাজাকে ধ্বংস করে মিত্রপক্ষ ইসরাইলকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। যার প্রমাণ মেলে ট্রাম্পের আল্টিমেটাম দেখে।
প্রস্তাব পেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে হামাসকে এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হতে হবে। অন্যথায় এ ‘খেলার শেষ করবে’ ইসরাইল।
সেক্ষেত্রে গাজায় আগ্রাসনের মাত্রা আরও কয়েকগুণ বাড়ানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত।
জাতিসংঘে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ডনম বলেন, ‘হামাস যদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তবে এ খেলা শেষ করবে ইসরাইল। হতে পারে তা সহজ কিংবা কঠিন পথে। তাদের জন্য আর অপেক্ষা করা হবে না। বন্দিদের মুক্ত করতে ভিন্ন পথ বেছে নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:
যদিও হামাসের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। বিষয়টি পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছে তারা।
এছাড়াও শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নাম প্রস্তাব করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যিনি ইরাক যুদ্ধের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে বেশ সমালোচিত।
ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ইরাক যুদ্ধের জন্য টনিব্লেয়অর দায়ী। মার্কিন সহায়তায় তিনি ইরাকে যুদ্ধ শুরু করেন। তার কাছ থেকে কী আশা করা যায়? তিনি যুদ্ধকে আরও বাড়িয়ে ব্যবসা করবেন।’
এক বিশ্লেষক বলেন, ‘টনি ব্লেয়ার নিরপেক্ষ কেউ নন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের হয়েই তিনি কাজ করবেন। ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করায় সে নিজেও একজন যুদ্ধাপরাধী। তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
এদিকে ইসরাইলের হুমকিকে তোয়াক্কা না করে গাজার দিকে ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নৌবহর সমুদ ফ্লোটিলা। যেখানে রয়েছে ৪৪টি নৌ-যান। এরই মধ্যে গাজার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে তারা। এ অবস্থায় যেকোনো সময় তাদের ওপর হামলা হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।





