অভিবাসী দমনে আবারো তৎপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার রোষানলের শিকার দেশটির বিরোধী শিবির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ক্ষমতায় থাকা শহরগুলো। কোনো কারণ ছাড়াই সেসব জায়গায় অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগ ডেমোক্রেটদের ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা করেছে ওরেগনের অ্যাটর্নি জেনারেল ড্যান রেফিল্ড। ট্রাম্পের পদক্ষেপকে উস্কানিমূলক ও স্বেচ্ছাচারী বলে অভিহিত করেন তিনি।
এদিকে, ওরেগনের মাটিতে সেনা মোতায়েনের ক্ষমতা ট্রাম্পের নেই বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ওরেগনের গভর্নর ও ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্য টিনা কোটেক।
আরও পড়ুন:
ওরেগন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টিনা কোটেক বলেন, ‘ওরেগনে কোনো বিদ্রোহের শঙ্কা নেই। জাতীয় নিরাপত্তার কোনো হুমকিও নেই। তাই এখানকার প্রধান শহরগুলোতে সেনা মোতায়েনের কোনো কারণ দেখছি না। সেনারা আসলে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে উত্তেজনার তৈরি হবে। আমি সরাসরি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলছি। ওরেগন আমাদের জন্মস্থান, এটা কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু নয়।’
গেল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পোস্টে ট্রাম্প জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর কবল থেকে পোর্টল্যান্ড সিটির অভিবাসী পুলিশদের বাঁচাতে সেখানে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা সদস্যদের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগের অনুমতিও দেন তিনি। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ওরেগনে ২০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে পিট হেগসেথ।
এছাড়া, নতুন করে নিউ ইয়র্ক, শিকাগো ও ওয়াশিংটনের মতো শহরগুলোতেও টহল বাড়িয়েছে অভিবাসী পুলিশ। এর মধ্যে গেল শুক্রবার, শিকাগোর একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রের সামনে সংঘটিত বিক্ষোভে টিয়ার গ্যাস ও পিপার স্প্রে ছুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।





