জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনে বৈশ্বিক যে সংকটগুলোর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তার একটি গাজা যুদ্ধ। তাই অধিবেশনের তৃতীয় দিনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের ওপর নজর ছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল অন্যান্য বিশ্বনেতাদের মতো মাহমুদ আব্বাসও সরাসরি ভেন্যুতে উপস্থিত হয়ে ভাষণ দেবেন। কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের ভিসার আবেদন নাকোচ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। পরে বিশেষ ভোটাভুটির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার প্রস্তাব পাশ করে জাতিসংঘ।
ভাষণে মাহমুদ আব্বাস প্রথমেই দাবি করেন, ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে বল প্রয়োগ করে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ড থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘২২ সেপ্টেম্বর সম্মেলনে যে শক্তি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে সৌদি আরব, ফ্রান্স, জাতিসংঘসহ সব অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করতে আমরা কাজ করবো।’
আরও পড়ুন:
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যেই ট্রাম্পের নেতৃত্বে গাজায় শান্তি ফেরাতে কাজ করতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি চলমান সংঘাত সমাধানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অবস্থান এবং যুদ্ধ পরবর্তী গাজার শাসন ব্যবস্থা নিয়েও কথা বলেন মাহমুদ আব্বাস।
গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, লুট ও দখল করা সম্পদ ফেরত দেয়া, যুদ্ধ পরবর্তী নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় আন্তর্জাতিক সংস্থা, সৌদি আরব ও মিত্র দেশের সহায়তা ইত্যাদি শর্ত দিয়েছেন মাহমুদ আব্বাস।
বিপরীতে ঘোষণা করেন, যুদ্ধ বন্ধের এক ফিলিস্তিনের শাসন কাঠামো পুনরুদ্ধারে সংঘাত থামার এক বছরের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে তাদের।
এদিকে ৩য় দিনের অধিবেশনে বক্তব্য দিয়েছেন ইয়েমেনে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রেসিডেন্ট আল আলিমি। এসময় দেশটির সশস্ত্র সংগঠন হুতিদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। এছাড়াও বক্তব্য দিয়েছেন, ঘানা, বলিভিয়া, জর্জিয়া, হাইতির সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।





