ফাঁকা বুলি আওড়ানো ছাড়া জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা নেই, দাবি ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: এবিসি নিউজ
0

জাতিসংঘ থেকে দু'টি জিনিস পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রথমে নষ্ট চলন্ত সিঁড়ি আর তারপর খারাপ টেলিপ্রম্পটার। জাতিসংঘের অধিবেশনে দেয়া প্রায় ১ ঘণ্টার ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন বৈশ্বিক এ সংস্থাটিকে। অভিযোগ করেছেন, জাতিসংঘ শুধু কঠিন ভাষায় চিঠি লিখতে জানে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাত বন্ধে ফাঁকা বুলি আওড়ানো ছাড়া সংস্থাটির আর কোনো ভূমিকা চোখ পড়েনি তার।

ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে ভেন্যুতে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে গিয়ে এক কেলেঙ্কারি কাণ্ড। সিঁড়িতে পা দিতেই থেমে গেল এস্কেলেটর।

উপায় না পেয়ে সিঁড়ি ভেঙ্গেই ওপরে উঠতে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

কেলেঙ্কারির এখানেই শেষ নয়, অধিবেশনের ভাষণ দিতে গিয়ে ট্রাম্প আবিষ্কার করলেন কাজ করছে না টেলিপ্রম্পটার। প্রম্পটার ছাড়া ভাষণ দিতে পটু হলেও এ ঘটনায় জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়েন নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেই ফেললেন, জাতিসংঘ থেকে নষ্ট এস্কেলেটর আর অকেজো টেলিপ্রম্পটার ছাড়া আর কিছুই পাননি তিনি।

আরও পড়ুন:

তবে, এখানেও থামেন নি ট্রাম্প। কিছুক্ষণ পরই হাসির রেশ থামিয়ে সরাসরি আক্রমণ শুরু করেন জাতিসংঘকে। ৬ বছর আগে এখানেই ট্রাম্পের দেয়া ভাষণে হাসির রোল উঠেছিল অধিবেশন জুড়ে। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ৮০তম অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে জাতিসংঘের ব্যর্থতার ফিরিস্তি চুপ করিয়ে দেয় উপস্থিত সবাইকে।

অভিবাসী সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সাফল্য আর একই ইস্যুতে জাতিসংঘের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প। অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের অভিবাসী নীতির কারণে সংস্থাটির সদস্যরাষ্ট্রগুলোর আজ বেহাল অবস্থা।

আরও দাবি করেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে বড় বড় কথা বলে এখানেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে জাতিসংঘ। সতর্ক করেন সবুজ জ্বালানি কিংবা নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে সংস্থাটি।

এছাড়া, বিশ্বে চলমান সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘের ভূমিকা শুধু চিঠি লেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প দাবি করেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর ৭টি সংঘাত একাই থামিয়েছেন তিনি। এবং এসব কারণে একাধিকবার ট্রাম্প নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার হিসেবেও জাহির করেছেন।

ইএ