হামাস নির্মূলে ইসরাইলের পরবর্তী টার্গেট তুরস্ক!

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু | ছবি: সংগৃহীত
0

কাতারে হামলার পর ইসরাইলের পরবর্তী টার্গেট তুরস্ক। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। এমনকি মার্কিন বিশ্লেষকরাও এ বিষয়ে আঙ্কারাকে সতর্ক থাকার পরমর্শ দিয়েছেন। মূলত হামাস নির্মূলের নাম করেই এ হামলা চালানো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেপ্টেম্বরের শুরুতে কাতারে হামলা চালায় ইসরাইল। কারণ হিসেবে তেল আবিব জানিয়েছে, হামাস নেতাদের অবস্থান লক্ষ করেই তাদের এ হামলা।

কাতারে আইডিএফের হামলার পর নড়েচড়ে বসে গাল্ফদেশসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো। দোহায় জরুরি সম্মেলন করে তারা।

কাতারের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইসরাইলের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ভালোভাবে দেখছে না হোয়াইট হাউস এবং সামনের দিনগুলোতে এ ধরণের হামলার পুনারাবৃত্তি হবে না বলেও আশ্বাস দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে এ বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের বিরোধী মন্তব্য করেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়মিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘হামাস নেতাদের চিরতরে শেষ করতে বিশ্বের যেকোনো দেশে হামলা করতে পারে ইসরাইল। এক্ষেত্রে কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করা হবে না।’

এরপরই প্রশ্ন জাগে মধ্যপ্রাচ্যের আর কোন কোন দেশে হামলা চালাতে পারে ইসরাইল। অবশ্য কাতারে হামলার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ইসরাইলের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয়, তাদের পরবর্তী টার্গেট তুরস্ক। এমনকি মার্কিন বিশ্লেষক মিখাইল রুবিনও তুরস্ককে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

সেক্ষেত্রে শুধু ন্যাটো মিত্রদের ওপর নিরাপত্তা ইস্যুতে নির্ভর না করার পরামর্শ তার। ইসরাইলের অনেক রাজনীতিবিদও তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বলেন, ‘আজ কাতার, আগামীতে তুরস্কে’।

আরও পড়ুন:

মধ্যপ্রাচ্যে মূলত ইসরাইল একাই তাদের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। তবে তাদের এ উদ্দেশ্য হাসিলের পথে অন্যতম হুমকি মনে করা হয় মুসলিম দেশ তুরস্ককে। এছাড়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বকেও ভয় পায় তারা।

এরই মধ্যে গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে তেল আবিবের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আঙ্কারা। আর তুরস্ক ভালো করেই জানে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরাইলের সব কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের ছত্রছায়াতেই হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, কৌশলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে বার বার টেনে আনছে ইসরাইল। এর জ্বলন্ত উদাহরণ ইরান-ইসরাইলের ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।

সেসময় ইরানের ওপর ইসরাইলের হামলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্বুদ্ধ করা হয় ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা করতে।

যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলেও পথ এখনও বহুদূর তেল আবিবের। যদিও তুরস্কের ওপর ইসরাইলের হামলার ইস্যুতে এখনও কোন মন্তব্য করেনি আঙ্কারা।

এসএইচ