আলোচনার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি দেশের ওপর আরোপিত শুল্কহার কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ছাড়া প্রায় সব দেশের শুল্ক কমানোর বিষয়ে একমত হয় ট্রাম্প প্রশাসন। বাংলাদেশের শুল্কহার ৩৫ থেকে কমিয়ে করা হয় ২০ শতাংশ। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর শুল্কহার কমায় অস্বস্তিতে আছে ভারতের পোশাক শিল্প।
এমন অবস্থায় রাশিয়ান তেল ক্রয় নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে নয়াদিল্লির। জরিমানা হিসেবে দেশটির ওপর শুল্কহার আরও বাড়ানোর হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের বাজারটি ধরার চেষ্টা করছে ভারত। তবে নতুন শুল্ক ঘোষণায় এখন বাজার হারাতে বসেছে ভারত।
চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পরই মার্কিন পোশাক খাতের বাজারের অন্যতম দেশ ভারত। উচ্চ শুল্কের পরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান পোশাক তৈরি অব্যাহত রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নামীদামী কয়েকটি ব্র্যান্ডের ক্রয়াদেশ পূরণে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতায় কতটুকু টিকে থাকতে পারবে তা নিয়ে এরইমধ্যে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
এদিকে, ১৯ শতাংশ শুল্কে অনেকটাই স্বস্তিতে পাকিস্তান। দেশটির তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্কিন শুল্ক ২৯ থেকে কমে ১৯ শতাংশ পাকিস্তানের জন্য বিশাল অর্জন। গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করে পাকিস্তান।
তবে শ্রমিকে মজুরি, সুদ হার, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাংলাদেশের বেশি থাকায় অনেকটা লড়াই করতে হবে পাকিস্তানকে। পোশাক খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে, শুধু শুল্ক নয়, উৎপাদন খরচের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে।
লিবার্টি মিলস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী তৈমুর মুকাতি বলেন, ১৯% শুল্কহার পাকিস্তানের জন্য স্বস্তির খবর। যদিও বাংলাদেশের তুলনায় ১% কম। তবে উৎপাদন খরচ ও ব্যবসার সুযোগ সুবিধার দিক থেকে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। এসব ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে প্রতিযোগিতা করতে হবে। পাকিস্তান সরকারকে এসব বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।
এশিয়ায় তৈরি পোশাক শিল্পের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামসহ বেশিরভাগ দেশের ওপর মার্কিন শুল্ক হার ১৯ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে আছে।





