সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতারের আকাশে হঠাৎই দেখা যায় আলোর ঝলকানি। আল উদেইদ বিমানঘাঁটির দিকে ছুটে আসে এক ঝাঁক মিসাইল। সাইরেন আর মিসাইলের শব্দে তৈরি হয় ভীতিকর পরিবেশ। যদিও ইরানের মিসাইলকে প্রতিহত করতে বেগ পোহাতে হয়নি কাতারকে। মিসাইলের ধ্বংসস্তূপ রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়লেও এতে কেউ হতাহত হননি।
পরমাণু স্থাপনায় হামলার জবাবে মার্কিন বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানোর দাবি করে তেহরান। যার নাম দেয়া হয় অপারেশন অ্যানানসিয়েশন অব ভিক্টোরি। আইআরজিসির দাবি, সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ণ রাখার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কড়া বার্তা দেয়া হয়েছে।
যদিও নিউইয়র্ক টাইমসের দাবি, হামলার বিষয়ে আগেই কাতারকে অবহিত করে ইরান। অন্যদিকে এক বিবৃতিতে কাতার সরকার জানায়, হামলার আগেই খালি করা হয় মার্কিন বিমানঘাঁটি। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়, হামলার জবাব দেয়ার অধিকার রাখে দোহা।
হামলার খবর পেয়ে হোয়াইট হাউজের সিচুয়েশন কক্ষে ছুটে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও চিফ অফ স্টাফের সঙ্গে এসময় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কাতারের পাশাপাশি ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করেও চালানো হয় হামলা। যদিও হতাহতের কোনও তথ্য মিলেনি। পার্শ্ববর্তী সিরিয়ার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতেও জারি করা হয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। কাতারের পাশাপাশি হামলার নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশ। এছাড়াও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় উপসাগরীয় ৫টি দেশের আকাশসীমা।