রোববার রাতে সাড়ে তিন শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলায় বেজায় চটেছে পশ্চিমারা। মার্কিন
প্রেসিডেন্টের পর ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বাড়ছে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন, বড় হচ্ছে সহায়তার অঙ্ক।
এবার ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে সম্মত হয়েছে পশ্চিমা মিত্ররা। সোমবার (২৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর। জানান, কিয়েভের প্রতিরক্ষার জন্য মিসাইলের রেঞ্জ সীমাবদ্ধ করে দেয়ার ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বার্লিন, লন্ডন, প্যারিস ও ওয়াশিংটন। এতে করে রাশিয়ার সামরিক স্থাপনায় ইউক্রেন হামলা চালাতে পারবে বলেও জানান তিনি।
ইউক্রেনে ধ্বংসাত্মক হামলাই প্রমাণ করছে রাশিয়া যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আগ্রহী নয়- নরডিক অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমনটাই দাবি করেছেন ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। এসময় কিয়েভকে সমর্থন দেয়ার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সম্মতি দিয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলো। পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য ৫০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে সুইডেন।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসেন বলেন, ‘এই বৈঠকে আমরা ইউক্রেনকে সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। চলতি সপ্তাহে ভয়ানক হামলাটি প্রমাণ করে রাশিয়া শান্তির জন্য আগ্রহী নয়। যেদিনই পুতিন সমঝোতার কথা বলেন, সে রাতেই তিনি ইউক্রেনে বোমাবর্ষণ করেন।’
যদিও বিশ্বনেতাদের সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। জোর দিচ্ছেন নিজ দেশের অর্থনীতিতে। সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যেখানে প্রাধান্য পায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘আমরা তাদের কাজের জায়গা দিয়েছি। সবচেয়ে সেরা সুযোগ সুবিধা দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের ব্যবসা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। এখন আমাদের জবাব দেয়ার সময় চলে এসেছে। যাতে পশ্চিমারা নিজেদের প্রতিরূপ দেখতে পায়।’
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতার ফল হিসেবে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন। ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার পুতিনকে উন্মাদ হিসেবে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মধ্যস্থতা করায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ। তবে আমাদের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য অতিরিক্ত আবেগ প্রবণতার ফল। বিষয়গুলো আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
এদিকে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রুশ সেনারা। ইতোমধ্যে দখল করা হয়েছে ৪টি গ্রাম। অভিযানে বেশ কয়েকজন ইউক্রেনীয় নিহতের তথ্য মিলেছে।





