দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর গাজাকে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরাইল। বন্দি বিনিময় নিয়ে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও করেছেন বিস্ফোরক মন্তব্য। জানিয়েছেন, হামাস নির্মূলই গাজায় সেনা অভিযানের মূল লক্ষ্য। এমন অবস্থায় নতুন অপারেশনের মধ্য দিয়ে গাজার পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ক্যাবিনেটের বৈঠকে হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। পার্লামেন্টে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন আইডিএফ চিফ অব স্টাফ লেফটেনেন্ট জেনারেল ইয়াল জামির। উপত্যকার দক্ষিণে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থানান্তর করে হামাসের ওপর বড় ধরনের হামলা হবে। যেন মানবিক সহায়তা বন্ধ করে রাখা না লাগে। সঙ্গে তাদের শাসন ব্যবস্থাও ধ্বংস করা হবে।
এই পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে হামাস পরাজিত হবে, বন্দিরাও মুক্তি পাবে, এমন প্রত্যাশা বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর। এমন অবস্থায় খোদ আইডিএফ প্রধান বলেছেন, এই চুক্তির মধ্য নিয়ে গাজার সামরিক নিয়ন্ত্রণ নিলেও তাতে বন্দি বিনিময় চুক্তি ঝুঁকির মুখে পড়বে। বন্দিদের পরিবারের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বন্দিদের কোণঠাসা করে দিলেন নেতানিয়াহু।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে শুরু হতে পারে গাজায় নতুন অভিযান। যদিও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গাভির গাজায় মানবিক সহায়তা দেয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করে বলেন, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার আছে, ত্রাণের প্রয়োজন নেই। উল্টো হামাসের গুদামে হামলা করা উচিত। যদিও আইডিএফ সরাসরি ত্রাণ সরবরাহের প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না। কিন্তু তাদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই পুরো কাজ শেষ করতে হবে।
যদিও, জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরাইলের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশ করানোর কাজ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। উপত্যকায় প্রায় ৯ সপ্তাহ ধরে বন্ধ ত্রাণ সরবরাহ। এর মধ্যেই নতুন করে ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় নতুন করে প্রাণ গেছে আরও বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনির।
ক্যাবিনেটের এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে এখনও সময় থাকলেও এরই মধ্যে গাজায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে আইডিএফ সেনারা। লক্ষ্য, গাজায় সামরিক অভিযানের জন্য অনুপ্রবেশ করবে হাজার হাজার সেনা। গেল ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে শুরু হওয়া সেনা অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজার ৪০ শতাংশ ভূখণ্ড গেছে আইডিএফয়ের দখলে।





