জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। কোনো তথ্য-প্রমাণাদি ছাড়াই হামলাকারীরা পাকিস্তানি উল্লেখ করে নয়াদিল্লির প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দিলো ইসলামাবাদও। জম্মু-কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপের শক্ত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। যেখান থেকে ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা স্থগিত, ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা আসে। এমনকি তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াগাহ সীমান্ত বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়াও ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তিকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের কার্যালয়।
আরো পড়ুন:
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পানি বন্ধ বা অন্য দিকে প্রবাহিত করার যে কোনো প্রচেষ্টা 'যুদ্ধের উসকানি' হিসেবে বিবেচনা করবে ইসলামাবাদ। এমনকি ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে কূটনীতিকদের সংখ্যা ৩০ জনে কমিয়ে আনতে এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ৩০ এপ্রিলের আগে পাকিস্তান ছেড়ে যেতেও বলা হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের নেয়া পাঁচটি পদক্ষেপ ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন শুরু করেছে দিল্লি। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা বাতিল করেছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে মেডিকেল ভিসাও। ৪৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারত ছাড়ার আল্টিামেটাম দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য ভিসা কার্যক্রমও স্থগিত করেছে দিল্লি। এছাড়া হামলাকারীরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের শাস্তি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরো পড়ুন:
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। ২০০৮ সালের মুম্বাই বোমা হামলার পর ভারতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এটিই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা। ভয়াবহ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়্যবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার ধারণা, তাদের পেছনে হাত আছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের।





