পাকিস্তানের লস্কর-ই-তাইয়্যেবার প্রক্সি দ্য রেজিস্ট্যান্স গ্রুপের হামলায় নরকে পরিণত হয়েছে ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর। মৃত্যু ভয়ে ভারতের কাশ্মীর ছাড়াই সেখানকার পর্যটকদের একমাত্র এখন উদ্দেশ্য। এতে শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত উপত্যকাটির পেহালগাম শহর।
কাশ্মীরে অবস্থানরতদের মধ্যে একজন বলেন, 'খুব ভয়ে আছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাশ্মীর ছেড়ে বাড়িতে যেতে চাই।'
কাশ্মীর হামলার এ ঘটনায় তিক্ততা বাড়ছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে। এরইমধ্যে পাকিস্তানের নাগরিকদের ভারত ত্যাগ, ওয়াগা বর্ডার বন্ধসহ ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি।
পাকিস্তানের ওপর ভারতের এসব নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও সরাসরি সংঘাতে জড়াতে পারে নয়াদিল্লি। এমনটাই মত বিশ্লেষকদের। কাশ্মীর পরিনত হতে পারে আরেকটি নতুন গাজায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন বলেন, '২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ইহুদিদের ওপর লক্ষ্য করে হামাস হামলা করেছিলো। ঠিক একইভাবে কাশ্মীরে মধ্যবিত্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলা হয়। পাকিস্তান হামাসের কৌশলে এগিয়েছে।'
ইসরাইল যেভাবে হামাসকে জবাব দিয়েছে ঠিক সেইভাবে পাকিস্তানকেও জবাব দিতে হবে ভারতের। এমনটাই মত মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টগনে সাবেক এই কর্মকর্তার।
মাইকেল রুবিন বলেন, 'ভারত ও এর মিত্রদেশগুলোকে এক হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আইএসআইকে হামাসের মতোই ধংস করতে হবে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের নজরে দিতে হবে।'
এমনকি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ওসামা বিন লাদের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। এবং পাক সেনাপ্রধানের সবুজ সংকেতই ভারতের কাশ্মীরে এ ধরণের হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তার।
এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স যখন ভারতে তখন কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার নাটক করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র করছে ভারত। এমনটাই অভিযোগ ইসলামাবাদের।
পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ গোলাম মোহাম্মদ সাফি বলেন, 'মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ভারতে ৪ দিনের সফরে থাকাকালীন কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে ভারত। কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনকে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভুলভাবে তুলে ধরতেই ষড়যন্ত্র করেছে ভারত।'
কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এরইমধ্যে দুই বার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও ভারত।
প্রয়োজনে সামনের দিনগুলোতে কাশ্মীরের হয়ে আরও ১০ বার যুদ্ধ করতে রাজি ইসলামাবাদ। গত ২ মাস আগেও এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির।