পুলিশের লাঠিচার্জ ও ধরপাকড় উপেক্ষা করে এভাবেই ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকের সামনে ইসরাইলবিরোধী প্রতিবাদে জড়ো হন কয়েকশ' শিক্ষার্থী। তাদের কণ্ঠজুড়ে একটাই দাবি ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই। একইসঙ্গে ইসরাইলের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও তাদের। এসময় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে নেদারল্যান্ডস পুলিশ।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, 'আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইসরাইলের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে। ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে গাজায়। তাই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে তাদের।'
ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কও। সোমবার নিউইয়র্কের ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে জড়ো হন শত শত বিক্ষোভকারী। এসময় যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবিও তোলা হয়।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'ইসলাম ধর্মে মানুষকে ধন্যবাদ দেয়া আর সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেয়া এক কথা। তাই যারা সম্মুখ সারিতে থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করে যাচ্ছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
অন্য একজন বলেন, 'ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে আমার বন্ধুকে ধরে নিয়ে গেছে। ভিডিওতে যার প্রমাণ রয়েছে।'
ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে তুরস্কের লাখো মানুষ। সোমবার দেশটির ইস্তাম্বুল শহরের বায়েজিদ স্কয়ারে জড় হন তারা। ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে গাজাবাসীর মুক্তির স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় ইসরাইলি গণহত্যার বিচারও দাবি করেন তুরস্কবাসী।