অন্যদিকে, ইহুদিদের বিশেষ ছুটির দিনে তেল আবিবে নৈশভোজে অংশ নিয়ে জিম্মিদের মুক্তির দবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
রোববার ভোররাতে আচমকা বোমার শব্দে দিশেহারে হয়ে পড়েন ফিলিস্তিনিরা। দিকবিদিক শূন্য হয়ে ছোটাছুটি করেন প্রাণের ভয়ে।
এদিন, গাজার উত্তরাঞ্চলের ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতাল আল-আহলি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। নিমিষে ধ্বংস হয়ে যায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল অবকাঠামো। আটকে পড়া রোগীদের উদ্ধারে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা এগিয়ে এলেও যন্ত্রপাতি না থাকায় তেমন অগ্রগতি চোখে পড়েনি। হামলার পর আতঙ্কে সূর্য ওঠার আগেই উত্তর গাজার ঐ বিশেষ এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করেন স্থানীয়রা।
এ নিয়ে উপত্যকাটির মোট ৩৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অভিযান চালালো ইসরাইলি দখলদার বাহিনী। এ হামলার নিন্দা জানিয়ে গাজার মিডিয়া অফিস বলছে, আল-আহলি উপত্যকাটির সবচেয়ে পুরানো ও গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোর একটি।
এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহর ঘেরাও ও দখলের পর এবার খান ইউনিস ও মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শরণার্থী শিবির থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা দপ্তর।
টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, হামাসের ছোঁড়া ৩টি রকেট প্রতিহতের পর স্থল অভিযান জোরদার করেছে আইডিএফ। আল জাজিরা জানায়, এমন বাস্তবতায় অস্ত্রবিরতির বিষয়ে মিশরের মধ্যস্ততাকারীদের সাথে আলোচনা করতে কায়রোতে পৌঁছেছে হামাসের প্রতিনিধিদল।
আরো পড়ুন:
অন্যদিকে, ইহুদিদের বিশেষ দিবস পাসওভার সেদার উপলক্ষে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে ধর্মীয় আচার মেনে এক নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা। গেল জানুয়ারিতে ইসরাইল-হামাস অস্ত্রবিরতির ভঙ্গের পর থেকে নিয়মিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ জারি রেখেছেন তারা।
পরিবারের সদস্যদের ছাড়া উৎসবের দিনগুলো ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিশেষ কোনো গুরুত্ববহন করে না। তারা মনে করেন, নেতানিয়াহু প্রশাসন হামাসকে চাপে রেখে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও, যুদ্ধ জারি রাখা ছাড়া আর কোনো অগ্রগতিই আসেনি।