হুতির মিসাইল হামলায় কাঁপলো ইসরাইল

বিদেশে এখন
0

হামাসের রকেটের পর এবার ইয়েমেনি হুতির মিসাইল হামলায় আবারো কাঁপলো ইসরাইল। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে চালানো এই হামলায় আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করেন ইসরাইলিরা। যদিও গাজায় চলমান আগ্রাসনে গেল ৩ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি। এদিকে, ব্যর্থতার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধানকে বরখাস্ত করেছে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। যার প্রতিবাদে নেতানিয়াহুর বাসভবন ঘিরে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ।

ইসরাইলে ছিল ঠিক উল্টো পরিস্থিতি। সাইরেনের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে ছোটাছুটি করেন ইসরাইলিরা। বৃহস্পতিবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বেশ কয়েকবার। হামাসের রকেটের পাশাপাশি হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মিসাইল হামলা ঠেকাতে ব্যতিব্যস্ত ছিল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। হুতির মুখপাত্র জানান, গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই অভিযান।

হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া বলেন, ‘তেল আবিবের জাফায় ইসরাইলের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ফিলিস্তিন-২। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় অভিযান ছিল এটি। আল্লাহর রহমতে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’

বর্বরতার সকল মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের আগ্রাসন। গেল তিনদিনে উপত্যকায় ঝরেছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় একসঙ্গে শুরু হয়েছে স্থল অভিযান। বিমান থেকে বোমা বর্ষণের পাশাপাশি হামলা করা হচ্ছে আর্টিলারির মাধ্যমে। হতাহতদের ঢল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালক মারওয়ান আল হামস বলেন, ‘জখম নিয়ে হাসপাতালে অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি করার উপায় নেই। ওষুধ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। একইসঙ্গে জ্বালানি ও স্টাফদের সংকট রয়েছে।’

এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধানকে বরখাস্ত করেছে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। এমন ঘটনা ইসরাইলের ইতিহাসে প্রথম। তাই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ফুঁসছে সাধারণ জনগণ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে রাখা বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শিন বেতের প্রধানকে পদে রাখা হলে অনুসন্ধানে ফাঁস হতো নেতানিয়াহুর অপকর্ম। তাই শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের পাশাপাশি যুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে অপকর্ম ধামাচাপা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী।

বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘বাজে মানুষদের হাতে ইসরাইলের গণতন্ত্র ছিনতাই হয়ে গেছে। তারা নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ ছাড়া কিছুই চিন্তা করেন না।’

আরেকজন বলেন, ‘নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে আমাদের নেতারা। আমরা এই ঘৃণ্য কাজকে সমর্থন করি না।’

জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী তেল আবিবসহ বিক্ষোভ হয়েছে বেশ কয়েকটি শহরে। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা।

ইএ