হুতিদের দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান পরিষ্কার, অতীতের ভুলগুলো আবার করবেন না তিনি। অন্যদিকে, হুতিরাও উঠে পড়ে লেগেছে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে। ২০১৫ সাল থেকে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে সশস্ত্র এই গোষ্ঠী। ইরানের সহায়তায় ব্যালিস্টিক মিসাইল আর ড্রোনের বহর রয়েছে তাদের। যদিও অতীতে মার্কিন প্রশাসনের তুলনায় নতুন প্রশাসনের পদক্ষেপ ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না ইয়েমেনের হুতিরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা আর ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি, ইরানের সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাবের মধ্যে হুতিদের ওপর হামলা ট্রাম্পের একটি পরীক্ষা ছিল। কারণ গেল ১৭ মাস ধরে বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ লোহিত সাগরকে অনিরাপদ করে রেখেছে হুতিরা।
ইসরাইল আর যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে চেষ্টা করছে সমুদ্রপথে হুতিদের থামাতে। অবস্থান পরিষ্কার করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানকে এখনই সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া বন্ধ করতে হবে। হুতিদের বিরুদ্ধে জলদস্যুতা, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগও এনেছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, দূরপাল্লার ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে হুতিরা। কনফ্লিক্ট আরমানেন্ট রিসার্চ বলছে, হুতিদের আনসার আল্লাহ ফোর্স প্রস্তুতি নিচ্ছে মানুষবিহীন যানকে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যবহারের। সফল হলে হুতিদের সক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।
স্থল, সমুদ্র আর আকাশপথে মানুষবিহীন যান দিয়ে হামলা সহজ হবে সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর জন্য। বেশি পরিমাণে যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ড্রোনগুলো উড়তে পারবে অনেকটা সময়, হামলা করতে পারবে অনেক দূরের লক্ষ্যবস্তুতে। কনফ্লিক্ট আরমানেন্ট রিসার্চ বলছে, যদি এই চেষ্টা সফল হয়, মানুষবিহীন যানে বিশ্বে প্রথমবারের মতো হাইড্রোজেন ফুয়েল ব্যবহার করবে কোন দেশ নয়, সশস্ত্র এক গোষ্ঠী।
ট্রাম্প বলেছেন, ১ বছরের বেশি সময় ধরে মার্কিন পতাকাবাহী কোন বাণিজ্যিক জাহাজ সুয়েজ খাল, লোহিত সাগর আর গালফ অব এডেন দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। প্রথম মেয়াদেও একই কাজ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সিরিয়ায় হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০২০ সালে আইআরজিসির কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলাইমানিকেও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
চুক্তি প্রত্যাখ্যান করায় এই মুহূর্তে ইরানেরও হুতিদের ওপর হামলার বিষয়টি দেখা ছাড়া কিছু করার নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি আসলেই ভয়াবহ। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার মধ্য দিয়ে হুতিরা শেষ হয়ে যাবে কিনা, উঠছে সেই প্রশ্নও।