সাইপ্রাসের নিকোশিয়ার পশ্চিমে ট্রুডোস পর্বতমালার সবুজ পাদদেশ। বিস্তৃত জলপাই বাগানে শত শত মুরগির বিচরণ।
প্রথম দেখায় এটিকে মুরগির খামার মনে হলেও আদতে জলপাই বাগানের ফলন বৃদ্ধি ও সার প্রয়োগে এখানে রাখা হয়েছে লেয়ার মুরগির এই ঝাঁক। ডিম দেয়া শেষে এসব মুরগিকে খামারে কাজে লাগানোর প্রকল্পের নাম দেয়া কয়েছে কোট কোট প্রজেক্ট।
মৌলিক পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে অভিনব এই প্রয়াস নিয়েছেন খামারি এলেনা ক্রিস্টোফোরাস ও প্রকৌশলী নিকোলাস নেটিয়ান। তারা জানান, বাগানে মুরগি পালনে খরচ একেবারেই কম। লাগেনা বাড়তি খাবার। কোট-কোট প্রকল্পের আওতায় শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয় মুরগির খাবার।
খামারিদের দাবি, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখছে সমন্বিত এই খামার। বাগানের ফলন বৃদ্ধিতে কাজে লাগছে মুরগির লার্ভা। পাশাপাশি মাটিতে সারের মাত্রা ঠিক রাখার পাশাপাশি কীটপতঙ্গ দমনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এসব মুরগি।
খামারিদের একজন বলেন, ‘ডিম দেয়া শেষে মুরগিগুলো অনেকে জবাই করতে চান, আমরা তাদের কাছ থেকে মুরগি উদ্ধার করে এখানে নিয়ে আসি। তারা মাটিতে আঁচড় দিচ্ছে, কীটপতঙ্গ খাচ্ছে। খাদ্য বর্জ্যগুলো সারের কাজ করছে। মুরগি আসার পর থেকে জলপাই গাছের বৃদ্ধি এবং ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।’
আমার লক্ষ্য হল একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ, স্বনির্ভর বাস্তুতন্ত্র তৈরি করা। তাই আমরা বাগানে মুরগি রাখা শুরু করেছি। মুরগির বিষ্ঠা গাছের ফলনে সাহায্য করে। আমাদের কীটনাশক লাগছে না, সার কিনতে হয় না। গাছের আগাছা পরিষ্কারের পাশাপাশি মুরগি কীটপতঙ্গ খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখছে।
প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বাঁচে এখানকার একেকটি লেয়ার মুরগি। বিভিন্ন খামারে প্রায় ২ বছর পর্যন্ত ডিম দিতে সক্ষম এরা।