গাজা ইস্যুতে হামাসকে শেষবারের মতো সতর্ক করলেন ট্রাম্প

0

গাজায় যুদ্ধবিরতি আর বন্দিদের মুক্তি নিয়ে এবার হামাসকে শেষবারের মতো সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও হামাসের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করছে ইসরাইল। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির হুমকি, উপত্যকায় আগ্রাসন চালালে বন্দিদের মৃত্যুর কারণ হবে তেলআবিব। এমন অবস্থায় গাজার সাধারণ মানুষের দাবি, গাজা ইস্যুতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত ট্রাম্পের।

গাজায় যুদ্ধ থামাতে ক্রমেই বিতর্ক উসকে দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজার সাধারণ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে উপত্যকাটি পুনর্গঠনের প্রস্তাবে এক ইসরাইল ছাড়া চটেছে পুরো বিশ্ব।

এবার গাজাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, হামাসের কেউ গাজায় নিরাপদ নয়। গাজার মানুষের ভবিষ্যৎ সুন্দর, কিন্তু ইসরাইলি বন্দিদের আটকে রাখলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।

এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে এবার হামাসের সঙ্গে আলোচনার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানান, যুদ্ধবিরতির জন্য তার কাছে হামাস-ইসরাইল, দু’পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘হামাসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ইসরাইলকে সহযোগিতা করছি বন্দিদের মুক্ত করে আনতে। হামাসের শর্ত অনুযায়ী কিছু হবে না। আমরা নগদ অর্থ দেবো না। আমাদের ৫৯ জন বন্দিকে মুক্ত করতে হবে।’

এমন অবস্থায় হামাস বলছে, শত্রুপক্ষের একের পর এক হুমকি পরিস্থিতি আরো উসকে দিচ্ছে। শত্রুপক্ষের বন্দিদের এখনও বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। ইসরাইল যুদ্ধকে প্রলম্বিত করতে চাইলে এবং ত্রাণ আটকে দেয়ার মতো কাজ করলে বন্দিরা সুরক্ষিত থাকবে না।

এদিকে ইসরাইল ত্রাণ প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেয়ায় মানবেতর পরিস্থিতিতে পড়েছে গাজাবাসী। জাতিসংঘ বলছে, ক্ষুধা সংকটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইল। গাজার সাধারণ মানুষ বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প মোটেও নিরপেক্ষ অবস্থানে নেই। ইসরাইলকে উসকে না দিয়ে উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তার আরো দ্রুত কাজ করা উচিত। গাজাবাসীরা দাবি, তারা কখনই নিজ ভূখণ্ড ছাড়বে না।

এমন অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনার বিপরীতে আরব বিশ্বের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরাইল।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, যুদ্ধ পরবর্তী গাজা পুনর্গঠন নিয়ে আরব বিশ্বের পরিকল্পনায় ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে আরব বিশ্বের দাবি, গাজা পুনর্গঠনের পাশাপাশি ফিলিস্তিনে হামাসকে বাইরে রেখে সরকার গঠন এবং দ্বিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিলেই শান্তি ফিরবে উপত্যকায়।

ইএ