ট্রাম্প প্রশাসনের ধোঁয়াশায় ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়াকে সহায়তায় অটল উত্তর কোরিয়া

.
বিদেশে এখন
0

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেয়ার পর আরো অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইউক্রেন কিংবা রাশিয়া, কোন পক্ষই নিশ্চিত হতে পারছে না, ডোনাল্ড ট্রাম্প কাজ করবে কার স্বার্থে। এদিকে রাশিয়াকে অনবরত সহযোগিতা করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সহায়তা কমছে ভলোদিমির জেলেনস্কির। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার জ্বালানি খাতে যেকোনো সময় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বসতে পারেন ট্রাম্প।

দায়িত্ব নিয়েই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি ছিল এটি। ক্ষমতায় এসে দেশের নানা সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ভলোদিমির জেলেনস্কি পাচ্ছেন না তেমন গুরুত্ব। এদিকে, চলতি বছরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের তিন বছর হতে চলেছে।

পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে বলা হচ্ছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ইউক্রেনে সেনা অভিযান বন্ধের জন্য। ট্রাম্প দাবি করেন, পুতিন নিজেও চাইছেন যেন এই যুদ্ধ বন্ধ হয়। তবে এই আলোচনা কোথায়, কখন হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত জানায়নি কোন পক্ষ।

যদিও রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের কাছ থেকে যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে কোন সাড়া পাচ্ছে না মস্কো। অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, বহুদিন পর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে হওয়া চুক্তি নিউ স্টার্ট, এই চুক্তিই শীর্ষ দুই পরাশক্তির দেশের মধ্যে সবশেষ পরমাণু অস্ত্রের পিলার।

এদিকে, যুদ্ধপরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক করে ফেলছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশটিকে পুরোপুরি সহযোগিতা করবে পিয়ংইয়ং। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়ার ত্রিপক্ষীয় সামরিক সমঝোতার ঘোষণায় চটে গিয়ে কিম বলেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা এখনও বহাল রয়েছে।

যুদ্ধের তিন বছরে এসে অস্ত্র আর যোদ্ধা সংকটে পড়ে গেছে ইউক্রেন। নতুন প্রেসিডেন্ট দ্রুতই কিয়েভে সামরিক সহায়তা স্থগিত করে দিতে পারে। অন্যদিকে, লক্ষ্য অর্জন থেকে খুব বেশি দূরে নেই রাশিয়া। ইউক্রেনকে বাইরে রেখে এই ইস্যুতে পুতিন চুক্তি করতে চান ট্রাম্পের সঙ্গে। জেলেনস্কির দাবি, ইউক্রেনের ইস্যুতে কোনো চুক্তি হবে না এই দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছাড়া।

রাশিয়ার সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগেই ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর শুল্কারোপ, নিষেধাজ্ঞা দেয়া আর জ্বালানি তেলের দরে মূল্যসীমা বেঁধে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু তার কাছে এমন কোন আশ্চর্য অস্ত্র নেই, যা দিয়ে যুদ্ধ বন্ধ হবে। ইউক্রেন ন্যাটোতে যুক্ত হতে না, ট্রাম্প দিতে পারবেন না সেই নিশ্চয়তাও। ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের ভবিষ্যৎ তাই হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত।

ইএ