বিদেশে এখন
0

ইওলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে বাসভবনের সামনে সমর্থকদের অবস্থান

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সমর্থকেরা। রাজনীতির হাওয়া বদলের কারণে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন ইউন সুক ইওল। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ সাধারণ মানুষকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বিতর্কিত এই প্রেসিডেন্ট। এদিকে সোমবারের মধ্যেই ইওলকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে তদন্তকারি দল।

গণতন্ত্রকামী দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের এই আন্দোলন দেখলে অনেকেই ভেবে নেবেন গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার লড়াই। তবে বাস্তবচিত্র পুরোটাই উল্টো।

মার্শাল ল জারির কারণে সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলের পক্ষে চলছে এই আন্দোলন। ইউলের বিরুদ্ধে জারিকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের বিরুদ্ধে সমর্থকরা অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাসভবনের সামনে। তাদের দাবি, অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে ইওলকে। যা আটকানো হবে যেকোনো মূল্যে।

টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এমন আন্দোলন সাপে বর হয়ে এসেছে ইওলের জন্য। সমর্থকদের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে দেশকে রক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন বরখাস্তকৃত প্রেসিডেন্ট। তবে এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল পিপিপি'র সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির।

এমন পরিস্থিতিতেও ইওলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বদ্ধপরিকর তদন্তকারি দল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ সোমবার পর্যন্ত থাকলেও এর আগেই দেশটির দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা- সিআইও বিতর্কিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন সাংবিধানিক আদালতের নতুন ২ বিচারক। এতে করে আদালতে বিচারকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ এ। ইউন সুক ইওলের অভিশংসনের বিষয়টি সুরাহা করবে সাংবিধানিক আদালত। যেখানে অভিশংসন কার্যকরের জন্য সম্মত হতে হবে অন্তত ৬ বিচারককে।

ইএ