বন্দিবিনিময়েই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা

রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের একটি বিধ্বস্ত অঞ্চল | ছবি: সংগৃহীত
0

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমেই ইউক্রেন সংঘাত নিরসন সম্ভব বলে দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে রাশিয়া সমঝোতায় রাজি না হলে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে অর্থনীতি ধসিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিকে দুপক্ষের এক হাজার যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মতিতে আশাবাদী ইউক্রেনীয়রা। অপরদিকে বিশ্লেষকদের দাবি, এমন উদ্যোগই খুলে দিবে যুদ্ধবিরতির দুয়ার।

দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতার মুখ দেখলো। ফল আসেনি আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির আলোচনায়।

তবে ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানালেন, তাকে ছাড়া যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সফলতা আসবে না। বলেন, পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমেই ইউক্রেন সংঘাত থামানো সম্ভব। তবে সমঝোতায় রাজি না হলে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে রাশিয়ার অর্থনীতি ধসিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক আছে। আমাদের একসঙ্গে বসতে হবে। আমার মনে হয় শীঘ্রই আমরা দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে ফেলবো। কারণ বৈঠক ও আলোচনা দেখতে দেখতে আমি বিরক্ত হয়ে পড়েছি।’

ব্যর্থ এই আলোচনার একমাত্র সফলতা এক হাজার যুদ্ধবন্দি সেনা বিনিময়ে দুপক্ষের সম্মতি,যা নিয়ে আশাবাদী ইউক্রেনীয়রা। তাদের ধারণা, এমন ছোট ছোট উদ্যোগই খুলে দিবে যুদ্ধবিরতির দুয়ার।

ইউক্রেনীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের উদ্যোগ প্রশংসাযোগ্য। যুদ্ধবিরতির আলোচনা দীর্ঘ প্রক্রিয়া হলেও আমার মতে বৈঠকের প্রভাব কিছুটা হলেও পড়বে।’

অন্য একজন বলেন, ‘আলোচনায় যোগ না দিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন পুতিন। আমার মতে বিশ্বনেতাদের উপস্থিতি রুশ প্রেসিডেন্টের গালে চপেটাঘাত।’

ইউক্রেনের স্থানীয় একজন বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশই যুদ্ধ শেষ করতে চাইছে। সম্ভবত পুতিনও এটি বুঝতে পেরেছেন। তাই তার ওপর চাপ বাড়ছে।’

আলোচনাকে আশাব্যঞ্জক বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি, ৩৯ মাসব্যাপী যুদ্ধে প্রথমবারের মতো সরাসরি বৈঠকের মাধ্যমে দুইপক্ষের মধ্যেই যুদ্ধ বন্ধের আগ্রহ ফুটে উঠেছে। ফলে শীঘ্রই যুদ্ধবিরতি দেখা গেলে চমকে যাবেন না তারা।

দ্যা স্টিমসন সেন্টারের সিনিয়র ফেলো পিটার স্লেজকিন বলেন, ‘সহস্রাধিক যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে সম্মত দুইপক্ষ। আনুষ্ঠানিকভাবে পক্ষগুলো সংঘাত নিরসনে তাদের ভিশন উপস্থাপনা করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি যথেষ্ট পদক্ষেপ। আলোচনায় অগ্রগতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা স্পষ্টতই একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত।’

যদিও বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন।

এসএস