৪৫ হাজার লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে জার্মানির বালঝাউসেন শহরের একটি বাড়ি। চোখ ধাঁধানো এই আলোকসজ্জা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। প্রতিদিন বিকাল থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই আলোর প্রদর্শনী।
পুরো আয়োজনে প্রায় দেড় মাস সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন বাড়িটির মালিক। যেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন চিত্র। তবে এর খরচ উঠে আসে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া অনুদান ও বিভিন্ন জিনিস বিক্রির মাধ্যমে।
দর্শনার্থীদের একজন বলেন, ‘আমি আমরা স্ত্রীর সঙ্গে মিলে এই ক্রিসমাস হাউজ তৈরি শুরু করি। তখন থেকেই আমরা ভাল কাজের জন্য বিভিন্ন অনুদান পাই। যেগুলো শিশু ও বিভিন্ন দাতা সংস্থায় ব্যবহার করা হয়।’
আরেকজন বলেন, ‘জার্মানির একপ্রান্ত যখন ক্রিসমাসের আনন্দে ভাসছে তখন অন্যপ্রান্তে তখন বইছে শোকের ছায়া। গেল শুক্রবার ম্যাগডেবার্গ শহরের ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলায় প্রাণ হারান অন্তত পাঁচজন। আহত হন দুই শতাধিক। এ ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শত শত বাসিন্দা।’
এদিকে, গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেসালোনিকির সমুদ্রতীরে সান্তা ক্লজের পোশাকে প্যাডেল বোর্ডিং করেন প্রায় ৩০ অ্যাথলেট। তাদের দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।
জনতাদের একজন বলেন, ‘সমুদ্রের প্রতি আমাদের ভালোবাসা অপরিসীম। আমরা ভারসাম্য ভালোবাসি, আমরা একসাথে থাকতে চাই। আমরা রসিকতা পছন্দ করি। মানুষের কাছে সুখ ও হাসি পৌঁছে দিতে চাই।’
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় শিশুদের জন্য ক্রিসমাসের আনন্দ যোগ করতে সান্তা ক্লজের পোশাকে হাজির হন দমকল বাহিনীর এক সদস্য। সেতু থেকে ৭০ মিটার দড়ি বেয়ে নেমে শিশুদের কাছে পৌঁছে দেন উপহার।
বছরের এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। উৎসবে রূপ নেয় দেশগুলো।