কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ পদযাত্রা ঘিরে শুক্রবার থেকে উত্তাল ভারত। ১৪৪ ধারা জারিসহ বন্ধ রয়েছে রাস্তাঘাট। চালানো হচ্ছে আটক অভিযান। ছোড়া হচ্ছে কাঁদনে গ্যাসও। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্তও অব্যাহত সোমবার পর্যন্ত। এতো কিছু করেও কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতের দাবিতে আবারও শুরু হওয়া আন্দোলন দমাতে পাড়ছে না প্রশাসন।
শুক্রবার পুলিশি বাঁধায় সৃষ্ট সংঘর্ষে অনেক কৃষক আহত হওয়ায় শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো কৃষকদের 'দিল্লি চলো' কর্মসূচি উত্তেজনার পারদ আরও বেড়েছে। বাঁধা ডিঙিয়ে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তের শম্ভু এলাকায় বাড়ছে মাঠে ঘাম ঝড়ানো শস্য উৎপাদকদের সারি। দাবিতে অনড় তাঁরা। ভয় দেখিয়ে তাদের ঠেকানো যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন একেকজন ফসল ফলানো যোদ্ধা।
এমন উত্তেজনার মধ্যে হরিয়ানায় অতিরিক্ত পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। শম্ভু সীমান্তের নিরাপত্তাও জোরদার করার দাবি করছে প্রশাসন। নতুন করে বাড়ানো হচ্ছে ব্যারিকেডের সংখ্যাও। এমনকি অম্বালা ও খনুরী সীমান্তে বিএনএস-এর ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। মোটকথা কৃষকদের 'দিল্লি চলো' আন্দোলন কর্মসূচি ঠেকাতে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
কৃষকদের দিল্লি চলো কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে কিষাণ মজদুর মোর্চা-কেএমএম এবং সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা- এসকেএম নামের দুটি অরাজনৈতিক সংগঠন। তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতসহ বেশ কয়েকটি দাবি রয়েছে।
কৃষি ঋণ মওকুফ, পেনশন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি না করা, পুলিশ মামলা প্রত্যাহার চাইছেন তারা। এছাড়াও ২০২১ সালে লখিমপুর খেরি সহিংসতার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার এর আইনি গ্যারান্টি চায় কৃষকরা।
একই দাবিতে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারিও দিল্লি লাগোয়া পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমানায় অবস্থান করছেন কৃষকরা। ২১ ফেব্রুয়ারি খানাউড়ি সীমানা থেকে কৃষকরা মিছিল করে দিল্লির দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিল। সেই সময় শুভাকরণ শিং নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়।