রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি কৌশলগত সামরিক অংশীদারিত্বের চুক্তি সই করেছে দুই দেশ। চুক্তি অনুযায়ী, এক দেশ আক্রমণের শিকার হলে অন্য দেশ সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়াবে। এছাড়া, উত্তরপূর্ব এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে মস্কো ও পিয়ংইয়ং।
এদিকে, দুই দেশের সম্পর্ক আরও প্রসারিত করতে উত্তর কোরিয়া সফরে গেছে রুশ প্রতিনিধি দল। কেসিএনএ জানায়, গেল শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়াকে সর্বাত্মক সমর্থনের কথা জানান কিম জং উন। বলেন- পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পিছু পা হবে না তার দেশ।
এ সময় উত্তর কোরিয়ার নেতা অভিযোগ করেন, পশ্চিমাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার উচিত শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের নেতাদের শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি ঘটতে থাকে নাটকীয়ভাবে।
রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের হামলার নিন্দা জানিয়ে উত্তর কোরিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপে হুমকির মুখে পড়বে গোটা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কায় আছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের বাসিন্দারা।
ইউক্রেনের বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘বাইডেন আর বেশিদিন বাঁচবেন না। মৃত্যুর আগে তিনি সবাইকে তার সঙ্গে টেনে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন।’
রাশিয়া বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দিনই খুব আতঙ্কের মধ্যে কাটাচ্ছি। রাশিয়ার অভ্যন্তরে খুব ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
ইউক্রেনের বাসিন্দাদের আরেকজন বলেন, ‘পুতিন যেমন উন্মাদ, তেমনি রাশিয়াও। তারা যেকোনো সময় পারমাণবিক হামলাও চালাতে পারে।’
এদিকে, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার ধারণা, রাশিয়ায় ১০ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যারা এরই মধ্যে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এছাড়া, গোলাবারুদ, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিভিন্ন সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে দেশটি। যদিও মস্কো ও পিয়ংইয়ং বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।