পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কারামুক্ত করতে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ তেহরিক-ই-ইনসাফ- পিটিআই এর নেতা-কর্মীরা। জোরালো হচ্ছে তার মুক্তির দাবি।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের এই সমাবেশ হাজার হাজার জনতার উপস্থিতি সেদিকেই ইঙ্গিত দেয়। জীবন দিয়ে হলেও ইমরান খানকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করলেন পিটিআই নেতা ও খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর। সত্যিকারের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর বলেন, ‘আমাদের জীবনও যদি চলে যায়, আমরা ইমরান খানকে মুক্ত না করা পর্যন্ত কিছুতেই থাকব না।’
সমাবেশে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উঁচিয়ে ধরলে, তাকে বের করে দেয়া হয়। এরপর ইমরান খানের মুক্তি চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বরাবর গত মাসে অর্ধশতাধিক মার্কিন আইন প্রণেতার দেয়া চিঠির প্রসঙ্গটি উঠে আসে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়লাভে ইমরান খানের মুক্তি সহজ হতে পারে বলে মনে করছেন তার সমর্থকরা। তবে সংকটের সময় পিটিআই-এর হাল ধরা নেতা গোহর আলী খান বলেন, ইমরান খানকে মুক্তির জন্য বিদেশি সহযোগিতা আশা করেন না তারা।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান গোহর আলী খান বলেন, ‘সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ইমরান খানকে মুক্ত করা সম্ভব হবে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনও দেশ থেকে সাহায্য আশা করে না।’
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাগারে রয়েছেন। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে শতাধিক মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। এছাড়া, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে অযোগ্যও ঘোষণা করা হয়।