বিদেশে এখন
0

সবশেষ জরিপে মাত্র ১ শতাংশ ব্যবধান ট্রাম্প ও কামালার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন গলাতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। চষে বেড়াচ্ছেন পেনসিলভেনিয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেটগুলো। আর এরই মধ্যে ভোট কেন্দ্রে হাজির হতে শুরু করেছেন ট্রাম্প ও কামালার সমর্থকরা। এদিকে, সবশেষ জরিপে মাত্র ১ শতাংশ ব্যবধান দুই প্রার্থীর মাঝে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসি মিলিয়ে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ রয়েছে। হোয়াইট হাউজের মসনদে বসতে একজন প্রার্থীকে পেতে হবে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট। ভোটগ্রহণের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত জনমত জরিপে কামালা হ্যারিসের সমর্থনে আছে ৪৮ শতাংশ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের পেছনে সমর্থন ৪৭ শতাংশ। একেবারে শেষ সময়েও দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে।

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনটি সুইং স্টেট নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেনিয়া ও মিশিগানে চষে বেড়াচ্ছেন। নর্থ ক্যারোলাইনায় উপস্থিত হয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র এখন অভিবাসীদের দখলে চলে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাধীন করবে রিপাবলিকানরা।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘মেক্সিকোর প্রতি আমার স্পষ্ট বক্তব্য। যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বাসিন্দাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে না পারে এবং মাদকের চালান বন্ধ না করে, তাহলে অবিলম্বে তাদের সব ধরনের আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র।’

এরপর ব্যাটেলগ্রাউন্ড পেনসিলভেনিয়ায় উপস্থিত হয়ে নিজের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট চালুর প্রতিশ্রুতি দেন। যে আইনের আওতায় কোনো অভিবাসী মার্কিন নাগরিক ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাকে হত্যা করলে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আর মাত্র কিছু সময় বাকি আছে। এই সময়ের জন্য আমরা ৪ বছর ধরে অপেক্ষায় আছি। সবকিছু আমাদের হাতে আছে। আমরা সঠিক পথে আছি। এটি মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা হতে যাচ্ছে। কামালা তোমার এখানে কোনো স্থান নেই।’

অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস সুইং স্টেটে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি পুয়ের্তো রিকোর বাসিন্দাদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পেনসিলভানিয়ার ৫টি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর ফিলাডেলফিয়ার সমাবেশের মাধ্যমে তার প্রচারণা শেষ হবে। নারীদের গর্ভপাতের স্বাধীনতাকে আইনে পরিণত করার অঙ্গীকার করেন কামালা। পাশাপাশি সবাইকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, ‘আগামী কয়েক ঘণ্টা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রচারণার বড় অংশ সবাইকে ভোটে অংশগ্রহণ করা। আমরা সম্প্রদায়ের মানুষের কাজ করেছি। সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই আমাদের সবার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।’

এদিকে, ভোটের আগে উৎসবে মেতেছে সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল ভোট থাকা পেনসিলভেনিয়ার বাসিন্দারা। ভোটকেন্দ্রের সামনে আগে থেকেই ভিড় জমিয়েছেন ট্রাম্প ও কামালার সমর্থকেরা।

সমর্থকদের একজন বলেন, ‘আবারও চার বছর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ এসেছে রিপাবলিকানদের কাছে। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।’

আরেকজন বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে এই স্টেটে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হবেন। আমি তার ভূমিধস জয় আশা করছি।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প মিশিগানের পিটসবার্গে প্রচারণা শেষে ফ্লোরিডার পাম বিচে ফিরে যাবেন। সেখানেই ভোট দিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবেন তিনি। এদিকে, কামালা হ্যারিসের নির্বাচনী রাত কাটবে ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে।

ইএ