বিদেশে এখন
0

রাশিয়ায় ১০ হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে ১০ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে পাঠানো হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। পেন্টাগনের তথ্য বলছে, প্রশিক্ষণ শেষে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লড়াইয়ে অংশ নেবেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, কুরস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের হটাতে ব্যবহার করা হতে পারে উত্তর কোরীয় সেনাদের। তৃতীয় পক্ষ যুক্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দূরপাল্লার অস্ত্র সহায়তার বিষয়টিতে আরো জোর দিতে পারে জেলেনস্কি প্রশাসন।

বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল রাশিয়ার পক্ষে লড়তে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যাচ্ছে উত্তর কোরীয় সেনারা। অবশেষে এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করা হলো পেন্টাগনের পক্ষ থেকে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে পাঠানো হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। প্রশিক্ষণ শেষে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লড়াইয়ে অংশ নেবেন তারা।

সেনা পাঠানোর খবরকে সপ্তাহখানেক আগে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিল মস্কো। তবে রাশিয়ায় উত্তর কোরীয় সেনারা অবস্থান নিয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের কথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেননি ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি জানান, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

প্রায় ৩৩ মাসের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দুপক্ষের হয়েই অংশ নিয়েছে ভাড়াটে যোদ্ধা। তবে উত্তর কোরিয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সমরাঙ্গনে যুক্ত হচ্ছে তৃতীয় দেশ। তবে এর আভাস পাওয়া গিয়েছিল আরো আগেই। গেল জুনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি সই করে রাশিয়া। আগ্রাসনের মুখোমুখি হলে একে অপরকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করে উভয় দেশ। বিশ্লেষকদের দাবি, এই চুক্তিকে ভিত্তি ধরেই পিয়ংইয়ংয়ের সেনা পাঠানো হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে।

এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধে কোনো পরিবর্তন আসবে কি-না, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। কিমের সেনারা পুতিনের যোদ্ধাদের পাশে লড়াই করার অর্থ, সেনা সংকটে ভুগছে রাশিয়া। যা বাড়তি মনোবল প্রদান করবে ইউক্রেনকে। তৃতীয় পক্ষের যুক্ত হওয়ার বিষয়কে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দূরপাল্লার অস্ত্র সহায়তায় আরো জোর দিতে পারে জেলেনস্কি প্রশাসন।

তবে ইউক্রেনের মাটিতে নয়, উত্তর কোরীয় সেনাদের ব্যবহার করা হতে পারে রাশিয়ার মাটিতে। কুরস্কে কিয়েভের সেনাদের হটানোর ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে রক্ষণের দায়িত্ব পিয়ংইয়ংয়ের যোদ্ধাদের হাতে দিয়ে আক্রমণের দিকে মনোনিবেশ করতে পারবে পুতিন সেনারা। এমন পরিস্থিতিতে সহসাই যুদ্ধ বন্ধের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা।

এএম