লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ'র সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরাইল। আইডিএফ প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ভূগর্ভস্থ হিজবুল্লাহ'র একটি কমপ্লেক্স উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরকক্ষা বাহিনী। আইডিএফ'এর দাবি, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অস্ত্রের ভাণ্ডার, খাবার আর যোগাযোগযন্ত্র রাখা ছিল এই কমপ্লেক্সে।
এদিকে ইরানে ইসরাইলি হামলার পর তেহরানের প্রতিক্রিয়া আতঙ্কে মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনা যখন চরমে, তখনও গাজা আর লেবাননে চরম বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর আগ্রাসনে প্রতিদিনই গাজা আর লেবাননে মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। রোববারই ইসরাইলের বিমান হামলায় গাজায় প্রাণ গেছে ৭০ জনের। পশ্চিমতীরেও চলছে আইডিএফ'এর তাণ্ডব। সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ'র সঙ্গে চলছে আইডিএফ'এর সংঘাত।
শরণার্থী শিবিরগুলোতে একযোগে চলছে ইসরাইলি সেনা অভিযান। এমন অবস্থায় জরুরি হয়ে পড়েছে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি। গাজায় যুদ্ধবিরতি আর বন্দি বিনিময়ে চুক্তি কার্যকরে কাতারের দোহায় আবারও শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা। হামাস বলছে, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পাশাপাশি বন্দি বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হবে স্বাধীনতাকামী এ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
এরমধ্যেই, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সঙ্গে বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনার জন্য কাতারের রাজধানী দোহা গেছেন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান। অন্যদিকে, চার ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তির জন্য মাত্র দুইদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রস্তাব দিয়েছে মিশর। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্র বলছে, এই আলোচনায় একসঙ্গে সব বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস, তবে ইসরাইলকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে গাজা থেকে, পাশাপাশি মুক্ত করতে হবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, ‘দুইদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আলোচনা করছি। সেইসঙ্গে বন্দিদের মুক্ত করার বিষয়টি রয়েছে। এই অঞ্চলে পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা প্রয়োজন। গাজার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। গাজার মানুষের জন্য কেউ কিছু করছে না । এই বর্বরতা বন্ধে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
এদিকে জাতিসংঘ বলছে, ইসরাইল সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জন্য বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে গাজাকে। আইডিএফ'এর অভিযানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এরপরও পুরো গাজায় সামরিক অভিযান জোরদার করে যাচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী।