শনিবার (২৬ অক্টোবর) ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। নিজের দিকে আঙুল ওঠার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরানে হামলার ইস্যুতে কোনোভাবেই জড়িত নয় ওয়াশিংটন। যদিও, তেল আবিবের দাবি হামলার বিষয়ে ওয়াশিংটনকে আগেই অবহিত করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ইসরাইলি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, তেল আবিবের শনিবারের হামলা ব্যর্থ হলে ইসরাইলি সেনাদের উদ্ধারের প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে রেখেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি যুদ্ধবিমানের বহরও প্রস্তুত ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিল। ইসরাইলকে সমর্থনে এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে তারা। বিশ্লেষকেরাও বলছেন, ইসরাইলের এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রেরই সুনিপুণ পরিকল্পনার অংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান কাবালান বলেন, ‘ইসরাইলের ইরানে হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকে চেয়ে আসছিলো কোনোভাবে যেন ইসরাইল ইরানের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা না করে, কারণ বিশ্বে জ্বালানি সংকট তৈরি হতে পারে, বাড়তে পারে দাম। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলাও চাচ্ছিলো না যুক্তরাষ্ট্র।’
রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান যদি কোনোভাবে ইসরাইলে প্রতিশোধমূলক হামলা করে বসে, মধ্যপ্রাচ্যে পুরোদমে যুদ্ধ লেগে যাবে। ইরানের গণমাধ্যম জানায়, তেহরানে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইসরাইলের হামলায়। তারা বলছেন, ইরান যদি চায়, ভয়াবহ সংঘাত বেঁধে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে।
হাসান কাবালান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে ইসরাইল ইরানে হামলা করেছে। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ইসরাইলের হয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্র কথা বলছে। লেবানন আর ফিলিস্তিন থেকে এই ইস্যু পুরোপুরি ভিন্ন। ইরান যদি ভয়াবহ কোন ক্ষয়ক্ষতি পায়, প্রতিশোধ নেবেই । তবে ক্ষয়ক্ষতি কম হওয়ায় ইরান সরাসরি সংঘাতে নাও যেতে পারে।’
শনিবার ইরানের রাজধানী তেহরানে হঠাৎ করেই হামলা চালায় ইসরাইল। ইহুদি ভূখণ্ডটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পহেলা অক্টোবর ইসরাইলে ইরানের ১৮০ টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পালটা ওই হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তেহরান শুরু থেকেই বলে আসছে, এই হামলায় মদদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ইসরাইলি বিমান বাহিনীকে নিরাপদে বেরিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করেছে বলেও অভিযোগ পেজেশকিয়ান প্রশাসনের।