বিদেশে এখন
0

ট্রাম্পকে কেন ভয় পান শি জিনপিং?

ট্রাম্পকে ভয় পান, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাই তিনি ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নেবে না চীন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে নিয়ে জানান দিলেন এমন আত্মবিশ্বাসের কথা। যদিও ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে সন্দেহ তারই অধীনে কাজ করা সামরিক নেতাদের।

২০১৮ সালে ট্রাম্পের শাসনামলেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। চীনা পণ্য ও কোম্পানির ওপর একের পর এক দেয়া নিষেধাজ্ঞায় চরমে পৌঁছায় দুই দেশের সম্পর্ক। এবারও নির্বাচনী প্রচারণায় চীনা পণ্যের ওপর চড়া হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে আসছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে শ্রদ্ধা করেন। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করার সাহস পাবে না চীন।

ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একসময় আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আমাদের সেই বন্ধুত্বে ফাটল দেখা দিয়েছে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। চীন বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ায় আমাদের মধ্যে দুরত্ব বেড়েছে। আমার শাসনামলে সবসময়ই তার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় ছিল।’

এদিকে, আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তাইওয়ানের দিকে নজর দিলে চীনের ওপর কয়েকশ গুণ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে চীনের ওপর ২শ' থেকে ২ হাজার শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের তৈরি গাড়ি বিক্রি করে মার্কিন অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারি না। মেক্সিকো বা চীনকে থামানোর জন্য এছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। তাদের কাছ থেকে কিছুই পাবে না যুক্তরাষ্ট্র।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসী হলেও, তার অধীনে কাজ করা সামরিক নেতারা এবার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের সাবেক চেয়ারম্যান জেনারেল মো. মার্ক মিলি বলেছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তি। আবার নির্বাচিত হলে সামরিক বাহিনীকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করবেন তিনি।

ইএ