আজ (মঙ্গলবার,১ অক্টোবর) সকাল থেকেই ফিলিপিন্সের উপকূলীয় এলাকায় চলছে ক্যাটাগরি তিন মাত্রার টাইফুন ক্রাথনের প্রভাব।
শুধু ফিলিপিন্স নয় টাইফুন ক্রাথনের প্রভাব পড়েছে তাইওয়ানেও। বুধবার তাইওয়ানের দক্ষিণ পশ্চিম শহর কাওশিউং শহরে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। এতে আতঙ্কে রয়েছেন প্রায় ২৭ লাখ বাসিন্দা। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বন্ধ রাখা হয়েছে দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ। বাতিল করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন জানান, নৌকাগুলো সুরক্ষিত করছি। ঝড়ে যেন ক্ষতি না হয়, পাশাপাশি বিভিন্ন সরঞ্জামগুলো নিরাপদে রাখতে চেষ্টা করছি আমরা।
আমরা বাড়িতে খাবার ও বৈদ্যুতিক টর্চ ব্যবস্থা করে রাখছি। টাইফুনের আঘাতে বিদ্যুতের সমস্যা হলেও যেন মোকাবিলা করা যায় বলেও জানান একজন বাসিন্দা।
স্থানীয়দের মধ্যে আরও একজন জানান, টাইফুনটি কাওশিউংয়ের খুব কাছাকাছি চলে আসছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।
আবহাওয়া অফিস জানায়, টাইফুন ক্রাথনের প্রভাবে ঘণ্টায় ১৯৮ কিলোমিটার থেকে ২৪৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে উপকূলীয় এলাকায়।
এদিকে ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত নেপাল। এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২শ'। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। পানির স্রোতে ভেসে গেছে বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা। ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বহু সড়ক ও মহাসড়ক।
স্থানীয়রা জানান, গেল এক দশকেরও এমন বৃষ্টিপাত দেখেননি তারা। আবহাওয়া অফিস বলছে, গেল কয়েকদিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩শ' ২২ মিলিমিটার।
এদিকে বন্যায় নাকাল ভারতের বিহারের বাসিন্দারাও। নেপাল সীমান্তবর্তী ভারতের ছয়টি ব্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেড়েছে কোসি, গন্ডক এবং বাগমতি নদীর পানি। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজারও বাসিন্দা।