গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল নিউইয়র্ক

বিদেশে এখন
0

গাজা উপত্যকায় চলমান আগ্রাসনের মধ্যেই লেবাননে হামলা জোরদারের নির্দেশ দিয়ে মার্কিন বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও তোলেন ফিলিস্তিন ও লেবাননপন্থিরা।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা ফেলা মাত্রই তোপের মুখে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল নিউইয়র্ক। ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফিলিস্তিন ও লেবাননপন্থি বিক্ষোভকারীরা।

একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি আগ্রাসনে উত্তপ্ত গোটা মধ্যপ্রাচ্য। এমন উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে জাতিসংঘের ৭৯তম সম্মেলনে শুক্রবার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর। নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়ে, দ্রুত সাজা কার্যকরের জোরালো দাবি জানান বিক্ষুব্ধ মার্কিনরা।

এছাড়াও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো তাকে থাকার জায়গা করে দেয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লজ্জার বলেও অভিযোগ করেন মার্কিন।

মার্কিনদের মধ্যে একজন জানান, তিনি রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের লালন পালন করেন। অথচ এই শহরে তাকে অবতরণ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার না করে একটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র এবং শহরের ক্ষমতায় থাকা সবার জন্য লজ্জাজনক।

ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। আমি অস্ট্রেলিয়ার একজন আদিবাসী নারী হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন জানাতে এসেছি। সেইসঙ্গে নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী হওয়ায় তাকে জেল পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি বলেও জানান একজন।

আন্দােলনে জড়ো হওয়া বহু ফিলিস্তিনি বলছেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান হলেও সংকট কাটবে না। কারণ এটি হলে অনেকেরই বাড়ি-ঘর ও জমিজমা ভাগ হয়ে যাবে।

ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজন জানান, আমি একজন ফিলিস্তিনি। ৪৮ নম্বর দাগের জমিতে আমার বাড়ি। যদি দ্বি-রাষ্ট্র হয় আমার জমি ওপারে চলে যাবে আর আমার শহর থাকবে এপাশে। তাই আমার কাছে দ্বি-রাষ্ট্র নীতি কোনো সমাধান নয়।

নিউইয়র্কে পৌঁছানোর ঠিক আগে লেবাননে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করে সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধ আরও জোরালো করার আদেশ দেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। এতে আঞ্চলিক যুদ্ধ উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে তোপের মুখে পড়লেন তিনি।