কলকাতার আর জি কর কাণ্ডের জেরে মাস পেরিয়েও উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। ১৪ আগস্টের পর আরও একবার রাত দখল করে প্রতিবাদ হয়েছে রোববার ( ৮ সেপ্টেম্বর)। এর পরপরই সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর দখল কর্মসূচি করেছেন কলকাতার সর্বস্তরের মানুষ। স্লোগান, গান, রং তুলির আঁচড় আর মোমবাতির আলোয় উঠে আসে নারী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের জোরালো দাবি। দ্বিতীয়বাররের মতো সুপ্রিম কোর্টে শুনানির ঠিক আগ মুহূর্তে এই আন্দোলনের উত্তাপ আরও বেড়েছে।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, 'এক মাস হয়ে গিয়েছে এখনো বিচার হয়নি। আমরা রাজপথে রয়েছি এই লড়াই রাজপথেই হবে।'
দ্রুত ন্যায় বিচার পেতেই রাজপথে জনতা গর্জে উঠেছে বলে মনে করেন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। বলছেন, যারা অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছেন ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন তারাও ধর্ষক ও খুনির সমতুল্য।
ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'সিস্টেমের মধ্যে থেকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে খুন হয়েছে সে। পুরো সিস্টেমটা ব্যবহার করা হয়েছে অপরাধীদের আড়াল করার জন্য।'
জার্মান থেকে সুইজারল্যান্ড, এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বসবাস করা ভারতীয়রাও। বিচারের দাবিতে গানে গানে প্রতিবাদ জানান তারা। ভিন দেশে থেকেও নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে ন্যায়ের প্রতিফলন চান তারা।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় শুনানি হতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে। সেই সঙ্গে রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের দু'দিন পরে ক্রাইম সিনের আশপাশে তড়িঘড়ি করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমনকি সঞ্জয় রায় ছাড়া এ মামলায় আরও কারও নাম উঠে এসেছে কি না তাও জানা যাবে। সেই সঙ্গে হাসপাতালটির সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ চক্রের দুর্নীতি কিংবা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো যোগ সূত্র আছে কী-না তাও স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর জি কর কাণ্ডে গত ২২ আগস্ট প্রথম শুনানি করেছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সেই থেকে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চেই এই শুনানি এখতিয়ার বলবৎ থাকে।