কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় টালমাটাল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। একদিকে যেমন ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সোচ্চার শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজ, অন্যদিকে মমতার পদত্যাগের দাবি নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তেজনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।
এরমধ্যেই, আরজি কর কাণ্ডে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-প্রতিবাদ করায় ৯৩ চিকিৎসককে বরখাস্ত করেছে মমতা প্রশাসন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘আইন কানুন মমতা প্রশাসন। আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ করায় চিকিৎসকদের বরখাস্ত করছে তারা।’
চিকিৎসক বরখাস্তের তীব্র সমালোচনা করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করে বলেছেন, আন্দোলন দমাতে দমন-পীড়নের রাজনীতি শুরু করেছেন মমতা। এসময় তিনি আরও বলেন, জনগণ যেভাবে তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন, এ যাত্রায় ব্যর্থ হলে পালানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত বলার পরেও রাজ্য সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে তা তিনি করতে পারেন না।’
অন্যদিকে, কলকাতার মেয়র ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ধর্ষণ ঠেকাতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। তার বিশ্বাস, নতুন এ আইন পাস হলে, ভবিষ্যতে আরজি কর কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে সাহস পাবেনা কেউ। আগামী মঙ্গলবার বিধানসভায় এ সংক্রান্ত বিলটি উত্থাপন করার কথা রয়েছে।
এ যখন অবস্থা তখন, আরজি কর ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে বিজেপি-তৃণমূল। মমতার পদত্যাগের দাবিতে বিজেপির সপ্তাহব্যাপী ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে নেমেছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসও। সেইসঙ্গে, আগামী দিনে কলকাতার বাইরেও সবাইকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণাও দেন তারা।