ঘন ঘন নির্বাচনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দেশের উন্নয়ন কাজ। সময় অপচয় সহ খরচ হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। এই যুক্তিতে ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বাস্তবায়নের পথে হাঁটতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে এটি কার্যকরে তোড়জোড় বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও, একইসঙ্গে ভারতজুড়ে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট গ্রহণের পথে অনেকদূর এগিয়েছে বিজেপি সরকার।
সেপ্টেম্বরে প্রস্তাবটি অনুমোদন পাওয়ার পর ১২ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত বিলটি ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাস হয়। মোদী মন্ত্রিসভায় ‘এক দেশ এক ভোট’ বিলটি পাস হওয়ার পর চলমান শীতকালীন লোকসভা অধিবেশনেই বিলটি তুলে ধরার অপেক্ষায়।
১০০ দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভার মতো স্থানীয় নির্বাচন একইসঙ্গে হয়ে গেলে ভারতের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার গতি বাড়বে দাবি করে- পুরো প্রক্রিয়াটি গত বছর থেকেই এগিয়ে নিচ্ছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
এরইমধ্যে এই সংক্রান্ত বিলটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পাস হওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়লেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক দেশ, এক ভোটকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে মোদি সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেছেন, সংসদে এ সংক্রান্ত বিল পেশ হলে তীব্র প্রতিবাদ জানাবে তৃণমূল কংগ্রেসের এমপিরা।
এক যোগে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সাংবিধানিক সংশোধনী এবং কমপক্ষে ৫০ শতাংশ রাজ্যের অনুমোদন প্রয়োজন। যা জোগাড়ে দেশব্যাপী ঐকমত্য- গঠনে কাজ করছে কোবিন্দ-নেতৃত্বাধীন সুপারিশ কমিটি।
১৯৫১ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ভারতে একযোগেই হতো সব নির্বাচন। তবে ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে কয়েকটি বিধানসভা ভেঙে দেয়া এবং ১৯৭০ সালে কয়েকটি লোকসভা ভেঙে দেয়ার পর থেকেই আলাদাভাবে নির্বাচন হয়ে আসছে ভারতে।