১৯ থেকে ২৪ আগস্ট। ৭ দিনের একটানা ভারি বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। পানিতে ডুবে বা ভূমিধসের কবলে পড়ে রাজ্যে প্রাণহানির সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। ৩৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে কোনোমতে আশ্রয় নিয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি গৃহহীন বাসিন্দা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, গোটা ত্রিপুরা রাজ্যকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
সোনামুরা শহরের অবস্থিত গোমতি নদীর পানি নামতে শুরু করলেও এখনো তা বিপৎসীমার ওপর দিয়েই বইছে। ভয়াবহ এই বন্যায় ভেসে গেছে ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, এমনকি গবাদি পশু। বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন ছিল অধিকাংশ অঞ্চল। তবে এরইমধ্যে রাজ্যের ১৮টি পাওয়ার ডিভিশন সচল করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। বিশেষ করে জলাবদ্ধতার কারণে তলিয়ে যাওয়া দক্ষিণ ত্রিপুরা, সিপাহিজালা ও গোমতির মত ৬টি জেলার ৭০ শতাংশ এলাকায় স্বাভাবিক হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
এর আগে, বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার, লাইফ বোট, অতিরিক্ত এনডিআরএফ টিমসহ সব ধরণের অত্যাধুনিক সাজসরঞ্জাম পাঠানোর ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার রাজ্যটিতে বন্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছে বিশেষ প্রতিনিধি দল।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়া, শান্তিরবাজার এবং গোমতী জেলার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
দু'দিনের এই সফর শেষে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন দলের সদস্যরা। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষন দলটির রিপোর্ট হাতে পেয়ে আর্ত মানুষের জন্য সরকার কতোটা এগিয়ে আসে এখন সেদিকেই তাকিয়ে ত্রিপুরা এলাকার দুর্গত বাসিন্দারা।