আর জি কর-কাণ্ডে নতুন মোড়! ইন্টারনেটে ভাইরাল আর জি কর হাসপাতাল সুপার ও নির্যাতিতা নারীর পরিবারের কল রেকর্ড।
গত ৯ অগাস্ট সকালে নিহত নারী চিকিৎসকের পরিবারের সাথে তিনবার যোগাযোগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভাইরাল হওয়া কল রেকর্ডে প্রথমে জানানো হয়, তাদের মেয়ের শরীর খারাপ। দ্বিতীয় বার, পরিবারটিকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাতে বলা হয়। আর তৃতীয়বার এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন সুপার নিজেই। চাঞ্চল্যকর এই কল রেকর্ডের সত্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বিশিষ্টজনরা।
সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, মেয়েটি কিছু একটা গোপন করার চেষ্টা করেছে বা কিছু একটা চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। সেখানে তো কিছু একটা গন্ডগোল তো আছেই।
যদিও, অডিও ক্লিপ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাদের দাবি, শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ একবারও দাবি করেনি ঐ নারী আত্মহত্যা করেছেন।
কলকাতা পুলিশের ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় আমরা আগে যা বলেছি এই অডিও ক্লিপ সেগুলোই প্রমাণ করছে। পুলিশ কল করে কখনোই বলেনি এইটা সুইসাইড।
এ বক্তব্যের জেরে বিরোধিরা বলছেন, এই হত্যা রহস্য ধামাচাপা দিতে রাজ্য সরকার শুরু থেকে কলকাঠি নাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশেই তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে।
এই যখন অবস্থা তখন, পশ্চিমবঙ্গে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করা হলে বাইরের রাজ্যগুলোতেও আগুন জ্বলবে বাদ যাবে না আসাম, বিহার, উড়িষ্যা, দিল্লি কিংবা মনিপুর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন, এ ধরণের বক্তব্য দেশদ্রোহিতার সামিল। মমতাকে পলিগ্রাফ টেস্ট দিতে বাধ্য করার দাবিও জানান এই বিরোধী নেতা।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ড. সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমার মনে হয় না দিদি মশকরা করা জন্য এইসব কথা বলেছেন।’
এরআগে, মমতার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত চিকিৎদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ আনে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ। এতে সায় দেন বিরোধীরাও। যদিও এই অভিযোগকে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে মমতা বলেন, ডাক্তার-পড়ুয়াদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেননি তিনি।
আর জি কর কাণ্ডে মমতার পদত্যাগের দাবিতে সপ্তাহব্যাপী ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি। পিছিয়ে নেই রাজ্য সরকার তৃণমূল কংগ্রেসও। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ৩১ আগস্ট রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। আগামী মঙ্গলবার বিধানসভায় এ সংক্রান্ত বিলটি উত্থাপন করার কথা রয়েছে।