বিদেশে এখন
0

পশ্চিমতীরে চরম আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী

যুদ্ধবিরতির কোন অগ্রগতি না থাকার সুযোগে গাজা উপত্যকার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিমতীরে চরম আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ইসরাইলি গণমাধ্যম বলছে, দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সেনা অনুপ্রবেশ ঘটছে অধিকৃত পশ্চিমতীরে। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ৫ সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি জানিয়েছে আইডিএফ। এই সেনা অনুপ্রবেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এদিকে, সহিংসতার আশঙ্কায় গাজা উপত্যকায় কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি।

গেল বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় সেনা অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। শুরু থেকেই আইডিএফ বলে আসছে, সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করতেই তাদের এই অভিযান। যদিও এরপর থেকে প্রায় একবছরের কাছাকাছি সময় ধরে অভিযান চললেও মৃত্যু হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনির।

এরমধ্যে পশ্চিমতীরেও একটু একটু করে চলছিলো দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান। চলতি মাসে সন্ত্রাস নির্মূলের নামে যা আরও জোরালো করেছে আইডিএফ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, অধিকৃত পশ্চিমতীরে দুই দশকেরও বেশি সময় পর এতো সহিংসতা চালাচ্ছে ইসসাইলি বাহিনী। পশ্চিমতীরেই কয়েকটি স্থান থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ।

বড় এই সেনা অনুপ্রবেশের ঘটনায় ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। উগ্রপন্থি দখলদারদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, গাজার পাশাপাশি পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধের পরিধি বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে ফের পূর্ণ মাত্রায় সহিংসতা চালানোর আশঙ্কাও করেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোরেল। অক্টোবর থেকে পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩শ'র বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, গাজায় ইসরাইলি সেনা অভিযানের সময় ত্রাণের গাড়ি ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শিকার হওয়ায় গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। ত্রাণের গাড়িটি লক্ষ্য করে ১০ বারের মতো গুলি করা হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অধিকৃত পশ্চিমতীরে অবিলম্বে সেনা অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এরমধ্যে লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের আগুন দেয়া জাহাজ থেকে জ্বালানি তেল নিঃসরণ হচ্ছে, এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, সেই জাহাজ থেকে তেল নিঃসরণের কোন প্রমাণ মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজটিতে কয়েক লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল রয়েছে। হুথি বিদ্রোহীরা এই জাহাজ উদ্ধারে টাগবোট আর উদ্ধারকাজে নিয়োজিত জাহাজ পাঠাতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর