নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে পছন্দের প্রার্থীদের পর্যবেক্ষণ করছেন মার্কিন ভোটাররা। বিগত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে যতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে, সবগুলোতেই বেশিরভাগ শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর সমর্থন ছিল রিপাবলিকান প্রার্থীদের প্রতি। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে সেই চিত্র। জনমত জরিপে উঠে আসছে, দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েও ডেমোক্র্যাট নেতা কামালা হ্যারিসের পাল্লা ভারী হচ্ছে শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে। এমনকি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চেয়েও তিনি শ্বেতাঙ্গদের ভোট বেশি পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনপিআর, পিবিএস নিউজ ও মারিস্ট জরিপ বলছে, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের প্রতি জনসমর্থনের একটি বড় অংশ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার হলেও সামগ্রিকভাবে শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের মধ্যেও কামালা ভালো অবস্থানে পৌঁছেছেন। ১ আগস্ট থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত পরিচালিত এসব জরিপে দেখা যায়, শ্বেতাঙ্গ সমর্থনের দিক দিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় মাত্র পাঁচ শতাংশ পিছিয়ে আছেন কামালা। এমএলএস জরিপে এ ব্যবধান আট শতাংশ। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য, ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ট্রাম্পের তুলনায় বিজয়ী প্রার্থী বাইডেন শ্বেতাঙ্গ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন ১২ শতাংশ।
কিন্তু বর্ণভিত্তিক সমর্থনের দিক থেকে রাজনীতির ইতিহাসকে উল্টো পথে নিতে কামালার কৌশল কী? বলা হচ্ছে, রানিং মেট বা নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের সমর্থন বাড়াতে সক্ষম প্রার্থী বেছে নিয়েই নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন কামালা।
ভোটারদের একজন বলেন, ‘দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাস গড়বেন কামালা হ্যারিস। ভাবতেই ভালো লাগছে। কিন্তু আরও ভালো লাগছে কী জানেন? যে আশা তিনি দিচ্ছেন পরবর্তী প্রজন্মকে। আমি আমার সন্তানদের জন্য ভালো ভবিষ্যৎ চাই। তাকে বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধি ও আমাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে মুখিয়ে আছি আমি।’
২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের সঙ্গে সামান্য ব্যবধানে যেসব রাজ্যে জিতেছিলেন দেশটির ইতিহাসের প্রবীণতম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, সেসব রাজ্যের মধ্যে এবার মিশিগান, উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়া, নেভাডা আর অ্যারিজোনায় ট্রাম্পকে জনসমর্থনের দিক দিয়ে এরইমধ্যে পেছনে ফেলেছেন কামালা। বাইডেনের জয় করা একমাত্র অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় ট্রাম্পের পেছনে কামালা। এখন পর্যন্ত জরিপে যতো রাজ্যে কামালা এগিয়ে, তার সবগুলোতে নির্বাচনে জিতলে ইলেক্টোরাল কলেজ তিনি জিতবেন ২৮৭-২৫১ ভোটে।